আন্তর্জাতিক

ভারত মহাকাশ স্টেশনকেও বিপদের মুখে ফেলতে পারে : নাসা

সম্প্রতি অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একটি লো-আর্থ অরবিট কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করে বিশ্বে চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। তবে দেশটির এ স্যাটেলাইট ধ্বংস ‘পরীক্ষা’ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে বলে অভিযোগ করেছে নাসা। যদিও নাসার প্রকাশ্যে করা এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে ভারত।

Advertisement

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান গত সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, গত সপ্তাহে ভারতের ওই পরীক্ষার জেরে মহাকাশে চার শতাধিকেরও বেশি ‘স্পেস ডেব্রি’, অর্থাৎ ধ্বংস হওয়া স্যাটেলাইটের বিপজ্জনক টুকরো তৈরি হয়েছে।

তবে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, লো অরবিটে তৈরি হওয়া ওইসব ডেব্রি খুব দ্রুতই পৃথিবীতে নেমে আসবে বা বিলীন হয়ে যাবে। ফলে তা থেকে বড় ধরনের কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই।

এদিকে ২৭ মার্চ (বুধবার) মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংসের ঘোষণা দেয়া সময় ভারত জানতো যে, এর ফলে যেসব স্পেস ডেব্রি তৈরি হবে তার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে। তবে নাসার প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন যে এতোটা কঠোরভাবে বিপদের দিক তুলে ধরবেন তা ভারত ভাবতে পারেনি।

Advertisement

নাসার প্রধান জানিয়েছেন, ভারতের চালানো ওই একটা টেস্ট থেকে তৈরি হওয়া চারশোরও বেশি ডেব্রি তারা শনাক্ত করছেন। যার অন্তত ৬০টি ডেব্রি তারা ট্র্যাক করতে পারছেন। তার মধ্যে থেকে অন্তত ২৪টি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথেরও উপরে চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এটা একটা ‘টেরিবল, টেরিবল থিং’ - অর্থাৎ সাংঘাতিক বিপজ্জনক ঘটনা। স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীরা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন ঠিকই, তবে ১০ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনো ডেব্রি আঘাত করতে পারে! সেই ঝুঁকি এখন অন্তত ৪৪ শতাংশ বেড়ে গেছে!

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র প্রধান ড. জি সতীশ রেড্ডি বলেছেন, নাসার এই মূল্যায়নের সঙ্গে তারা মোটেও একমত নন।

তিনি বলেন, ‘অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্টের জন্য আমরা ইচ্ছে করেই লো অরবিট বা কম উচ্চতার নিশানা বেছে নিয়েছিলাম। কারণ, একটি দায়িত্ববান রাষ্ট্র হিসেবে মহাকাশের বিভিন্ন অ্যাসেট যাতে অক্ষত থাকে, নিরাপদ থাকে -সেটা দেখাও আমাদের দায়িত্ব ছিল। তাছাড়া যেটুকু ডেব্রি তৈরি হয়েছে সেটাও খুব দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে, আমরাও ঠিক সেটাই চেয়েছিলাম।’ সূত্র : বিবিসি

Advertisement

আরএস/জেআইএম