আন্তর্জাতিক

চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়ানো প্রায় অসম্ভব

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ব্রেক্সিট নিয়ে থেরেসা মে’র সম্পাদিত চুক্তি যে আর আশার আলো দেখবে না তা প্রায় অনেকটা নিশ্চিত। ধারণা করা হচ্ছে, শেষমেশ চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে যুক্তরাজ্যকে।

Advertisement

ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অচলাবস্থা সোমবারও না কাটায় চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের সম্ভাবনাই এখন বেশি বলে জানিয়েছেন ইইউ’র ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান আলোচক মিশেল বার্নিয়ার। তিনি বলেছেন, আগামী ১২ এপ্রিলে ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্যের হাতে এখন তিনটি বিকল্প আছে।

সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট চুক্তির বিকল্প খুঁজতে ফের ব্যর্থ হওয়ায় চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাড়ছে। তাছাড়া প্রবল মতপার্থক্যের ফলে সরকারে ভাঙনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে থেরেসা মে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে লম্বা বৈঠকও করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্ক কাঠামোয় স্থায়ীভাবে থেকে যাবার একটি প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছেন সংখাগরিষ্ঠ এমপি। যদিও মাত্র চারটি ভোট কম পাওয়া সেটি অনুমোদন পায়নি। নরওয়ের সঙ্গে ইইউ’র সম্পর্ককে মডেল হিসেবে বেছে নেবার প্রস্তাবও ব্যর্থ হয়েছে।

Advertisement

ব্রেক্সিটের প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোটের প্রস্তাবও গ্রহণ করেননি সংসদ সদস্যরা। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজস্ব দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ফলে সংসদে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠলো অচলাবস্থা। বিরোধী পক্ষ এখনো ব্রেক্সিট চুক্তির বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যেতে চায়।

সোমবারের ভোটাভুটির ফলে আপাতত মোটামুটি তিনটি সম্ভাবনাই অবশিষ্ট রইলো। প্রথমটা হলো নির্দিষ্ট তারিখেই চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট কার্যকর করা। কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে সেজন্য চাপও দিচ্ছেন।

দ্বিতীয় উপায় হলো প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যে চুক্তিটি করেছেন তা পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া। অবশ্য চতুর্থবারের মতো সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের চেষ্টা চালাতে পারেন থেরেসা মে। তবে তার জন্য আগে দরকার স্পিকারের সম্মতি ও প্রয়োজনীয় ঐকমত্য।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলীয় প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি চুতর্থবারের মতো পার্লামেন্টে প্রত্যাখাত হলে তৃতীয় উপায় হবে ইইউ’র দীর্ঘ দিনের জন্য থেকে যাওয়া মানে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদন করা। যদি তৃতীয় পথটি বেঁছে নেয়া হয় তাহলে যুক্তরাজ্যকে আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।

Advertisement

গণভোটের রায়ের পর ইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেশিরভাগ এমপি গণভোট অথবা জনরায়ের কথা বলে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পক্ষে। সেক্ষেত্রে ইইউতে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর তিনবার প্রত্যাখ্যাত হওয় মের চুক্তি যে পার্লাম্নেট অনুমোদন পাবে সে আশাও ক্ষীণ। তাই চুক্তি চাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনাই এখন বেশি।

এসএ/এমএস