বোলাররা নিজেদের কাজটা করেছিলেন ঠিকঠাক, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে থামিয়েছিল ২৪৫ রানেই। এরপর নামলো বৃষ্টি, নতুন লক্ষ্য দাঁড়াল ২০ ওভারে ১৪৯ রানের। এতেই ঘটে বিপত্তি। ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় বৃষ্টি আইনে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় প্রাইম ব্যাংক।
Advertisement
অথচ আগের সাত রাউন্ডের মধ্যে ৬ ম্যাচেই জিতে রীতিমতো আকাশে উড়ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হারের পর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছিল এনামুল হক বিজয়ের দল। অষ্টম রাউন্ডে এসে চলতি লিগে দ্বিতীয় হারের সম্মুখীন হলো তারা।
বৃষ্টির কারণে নতুন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কখনোই মনে হয়নি প্রাইম ব্যাংক এ ম্যাচ জিততে পারবে। মাত্র ৩১ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যায় টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অধিনায়ক বিজয় এবং আলআমিন জুনিয়র ফেরেন প্রথম বলেই, শূন্য রানে। এছাড়া জাকির হাসান ১, অলক কাপালি ৩ ও আরিফুল হক করেন মাত্র ৫ রান।
শেষদিকে অভিমান্যু ইশ্বর ৩৯, নাঈম হাসান অপরাজিত ১৬, নাহিদুল ইসলাম ১৪ ও আব্দুর রাজ্জাক ১৪ রান করলে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা পায় প্রাইম ব্যাংক। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের ইনিংস থামে ৯ উইকেট ঠিক ১০০ রানে। শাইনপুকুরের পক্ষে দেলোয়ার হোসেন ৩টি এবং সাব্বির হোসেন নেন ২টি উইকেট।
Advertisement
এর আগে তৌহিদ হৃদয় ও সাদমান ইসলামের ফিফটির সঙ্গে শুভাগত হোমের ক্যামিওতে ২৪৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ছয় চার ও এক ছয়ের মারে ৯৪ বলে ৭৮ রান করেন সাদমান। তৌহিদের ব্যাট থেকে আসে ১১৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংস।
শেষদিকে ছয় চারের মারে ২৮ বলে ৪৪ রান করেন শুভাগত হোম। শাইনপুকুরের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২৪৫ রানে। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নেন আরিফুল হক।
আট ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছে প্রাইম ব্যাংক। সমান ম্যাচে ৩ জয়ে সাত নম্বরে রয়েছে শাইনপুকুর।
এসএএস/এমএস
Advertisement