জাতীয়

জুডিশিয়াল ক্যু করার ইচ্ছা ছিল এস কে সিনহার

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার জুডিশিয়াল ক্যু করার অভিপ্রায় ছিল বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, এতে বাধা দিতে গিয়ে দুই-আড়াই বছর যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়েছে। অনেক উন্নয়ন কাজ তার (এস কে সিনহা) কারণে ব্যাহত হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সমন্বয় সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা জানান। সভা পরিচালনা করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।

বিতর্কের মধ্যে ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়া তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন। পরে বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। এরপর থেকে এস কে সিনহা বিদেশেই অবস্থান করছেন। সরকার তাকে পদচ্যুত করে দেশছাড়া করেছেন বলেও বিদেশে গিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, যে মুহূর্তে আমরা আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করব, সেই মুহূর্তে লেজিসলেটিভ ডিভিশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তার কারণ হচ্ছে, কোনো আইনই কিন্তু এই লেজিসলেটিভ ডিভিশনের আওতার বাইরে যেতে পারে না। সেটা অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ডিভিশন করেছেন।

Advertisement

আনিসুল হক বলেন, যেদিন থেকে সংবিধান প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে সেদিন থেকে লেজিসলেটিভ উইংয়ের জন্ম হওয়া উচিত ছিল। এর কারণ হচ্ছে, লেজিসলেটিভ উইং একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উইং। সেটা হয়নি। আইন বানানোর জন্য যে আলাদা বিভাগ লাগে আর এটা পরীক্ষা করতে হয়, তা সামরিক শাসকরা ভাবতেও পারেননি। এজন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু বৈষম্য বিলোপ ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তাই আইন মন্ত্রণালয়ে বৈষম্য তৈরির কোনো সুযোগ নেই।

আরএমএম/এমএসএইচ/জেআইএম

Advertisement