জাতীয়

তিন মাসে ৩৬ প্রতিষ্ঠানের পানি উৎপাদন বন্ধ

নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করতে চলতি বছরের তিন মাসে (জানুয়ারি- মার্চ) ৭৫টি সার্ভিল্যান্স অভিযান চালিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

Advertisement

এসব অভিযানে প্রায় ৪২ হাজার নোংরা ও ননফুডগ্রেড পানির জার ধ্বংস এবং ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের পানি উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে এক সেমিনারে তিনি বিষয়টি জানান। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাননি।

‘বাজারে নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিতকরণে উৎপাদনকারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, বিশুদ্ধ পানি ভোক্তার হাতে পৌঁছে দেয়া উৎপাদনকারীদের দায়িত্ব। এ কাজে বিএসটিআইর পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পণ্যের মানের বিষয়ে উৎপাদনকারীরা কোনো আপস করবেন না।

Advertisement

সরকারনির্ধারিত বিএসটিআইয়ের ১৮১টি বাধ্যতামূলক পণ্যের মধ্যে বিশুদ্ধ বা নিরাপদ পানিও একটি। ভোক্তার হাতে এ নিরাপদ পানি পৌঁছে দিতে উৎপাদনকারীদের কিছু নির্দেশনা দেন মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন।

তা হলো- ফুডগ্রেড জার ব্যবহার, জারের গায়ে ব্র্যান্ডের নাম, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখসহ পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সংবলিত মানসম্মত লেবেলিং ব্যবহার, জার ভালোভাবে কাভার দিয়ে মুড়িয়ে রাখা, ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) প্রথা বাতিল এবং পানি পরিবহন ভ্যানে বিএসটিআইর লাইসেন্স রাখা ইত্যাদি।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএসটিআইর পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী, সার্টিফিকেশন কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যাপক কে এম ফরমুজুল হক, পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আওলাদ হোসেন রাজীব, সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফ উল কবীর প্রমুখ। এ সময় বিএসটিআইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানি উৎপাদনকারী ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর

Advertisement