৩ উইকেটে ১৪৪। ওভার গেল ১৬.৪টি। জয় থেকেও খুব বেশি দূরে নয়। ৩.২ ওভারে দরকার ২৩ রান। এমন পরিস্থিতিতে কোনো দলেরই সাধারণত হারার কথা নয়, যদি না কোনো মিরাকল ঘটে যায়!
Advertisement
চন্ডিগড়ের পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে তেমনই এক মিরাকল ঘটে গেল, যা দেখে রীতিমত বাকরুদ্ধ দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ছুড়ে দেয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৪৪ থেকে ১৫২ রানে অলআউট দিল্লি ক্যাপিটালস। অবিশ্বাস্যভাবে গেরে গেল তারা ১৪ রানের ব্যবধানে। পাঞ্জাবের ইংলিশ পেসার স্যাম কুরানের বিধ্বংসী বোলিংয়ের ওপর ভর করেই অসাধারণ জয়টি পেয়েছে প্রীতি জিনতার দল।
মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়েছে স্রেয়াশ আয়ারের দল। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্ব নিকৃষ্ট। ম্যাচ শেষে এ কারণে দিল্লি অধিনায়ক নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, স্যাম কুরানের বলে একের পর এক দলের ব্যাটসম্যানদের এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
Advertisement
আগের ওভারেই কেকেআরের বিপক্ষে সুপার ওভারে গিয়ে জিতেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচেও একেবারে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছিল দিল্লি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বলতে গেলে, ম্যাচটি ছুড়েই দিয়ে এসেছে। স্রেয়াশ আয়ার বলেন, এ ধরনের ম্যাচে যেভাবে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন, সেটাই আমাদের ঘাটতি রয়ে গেছে। আমাদের আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন, এমন ম্যাচে কীভাবে ভালোভাবে ফিনিশ করে আনা যায়।
রিশাভ পান্ত আর কলিন ইনগ্রাম মিলে দিল্লিকে সহজে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্যাম কুরানের এক বিধ্বংসী স্পেলেই শেষ হয়ে গেলো সবকিছু। হেরে যেতে হলো মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে। মাত্র ২.২ ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্যাম কুরান।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement