ধর্ম

নারীদের জন্য কখন হজ ফরজ?

হজ আর্থিক এবং শারীরিক ইবাদত। হজ করার আর্থিক ক্ষমতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হজ করা জরুরি। কেননা হজের সামর্থ্য হওয়ার পর যদি কোনো লোক পরবর্তীতে সম্পদহীন হয়ে যায় তবে তার ওপর হজের ফরজিয়ত থেকে যাবে। গরীব হয়ে যাওয়ার কারণে হজের শর্ত ছুটে যাবে না।

Advertisement

আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলেই পুরুষের জন্য যেমন হজ ফরজ হয়, নারীদের ক্ষেত্রে তেমনটি নয় বরং নারীর জন্য হজ ফরজ হতে পুরুষদের চেয়ে কিছু অতিরিক্ত আর্থিক যোগ্যতা, সক্ষমতা এবং অনুমতি থাকা আবশ্যক হয়। যা জানা মুসলিম নারীদের জন্য আবশ্যক। এসব ক্ষেত্রে অনেক নারীই সন্দেহ-সংশয়ে থাকে।

যাদের ওপর হজ ফরজ

> আকল বা জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে।> প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।> স্বাধীন হতে হবে।> পূর্ণ সুস্থ এবং সবল থাকা। > হজে মৌসুম হতে হবে।> হজের রাস্তা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হওয়া।> হজের পূর্ণ খরচ বহন করার সক্ষমতা থাকা।

Advertisement

আরও পড়ুন > মক্কার হারাম সীমানায় হাজিদের যে কাজগুলো নিষিদ্ধ

নারীদের জন্য অতিরিক্ত যে বিষয়গুলো জরুরি-

> বিবাহিত হলে স্বামীর অনুমতি থাকতে হবে।> তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা হলে (পরবর্তী ৩ মাস) ইদ্দত পরিপূর্ণ করতে হবে।> অবশ্যই হজের সফরে মাহরাম বা বৈধ দায়িত্বশীল ব্যক্তি থাকতে হবে।> যে নারী হজ করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তাকে অবশ্যই হজের খরচ নির্বাহ করার আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হবে।

নারীদের অতিরিক্ত আর্থিক সক্ষমতা-

Advertisement

যে নারী হজ করার ইচ্ছা পোষণ করবে কিন্তু হজের সফরের জন্য কোনো মাহরাম না থাকে। তবে সে নারী নিজ খরচের সঙ্গে মাহরামের হজের খরচ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকতে হবে।

আর কোনো নারীর বৈধ মাহরাম যদি তার ফরজ হজ আদায় করতে যায়, তার সঙ্গে হজ ফরজ হওয়া কোনো নারী যেতে চাইলে যেতে পারবে, সে ক্ষেত্রে পুরুষ মাহরামের খরচ দেয়ার প্রয়োজন হবে না।

আরও পড়ুন > নিজের হজ না করে অন্যের হজ আদায় করা যাবে কি?

সুতরাং যে নারীর নিজ খরচ এবং মাহরামের খরচ মেটানোর আর্থিক সক্ষমতা থাকে তবে অন্যান্য শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে তাদের জন্য হজ করা ফরজ। শুধু হজই নয় বরং নারীর জন্য ওমরার ক্ষেত্রেও এ শর্তগুলো প্রযোজ্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারীকে হজের সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমকেএইচ