ডেড সি বা মৃত সাগরের কাছেই মালহাম নামে ইসরায়েলে বিশ্বের দীর্ঘতম সল্ট কেভ বা লবণ গুহা আবিষ্কারের দাবি করেছেন দেশটির গুহাসন্ধানীরা। এটির দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ইরানের নামাকদান গুহার দখলে।
Advertisement
মালহাম গুহার ব্যাপ্তি এতটাই যে, একে আস্ত দেশ বলা শুরু করেছেন গবেষকদের একাংশ। ১০০টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে এই গুহায়। প্রতিটি কক্ষ প্রায় ৫ হাজার ৬৮৫ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
মালহাম ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় পাহাড় সোদমের বুক চিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিকটবর্তী মৃত সাগরে গিয়ে শেষ হয়েছে। রেডিওকার্বন ডেটিংয়ে জানা গেছে, গুহাটি সাত হাজার বছরের পুরনো। লবণের সঙ্গে আকরিক আর পানি মিশে তৈরি হয়েছে এটি।
গুহাটি প্রথম আবিষ্কার করেন হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের গুহা গবেষণাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আমোস ফ্রামকিন। আশির দশকে গুহাটির প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মানচিত্র তৈরি করেন তিনি। কিন্তু ২০০৬ সালে গবেষকেরা ইরানের কেশম দ্বীপে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ নামাকদান গুহা আবিষ্কার করলে সারা বিশ্বে তা দীর্ঘতম লবণগুহার স্বীকৃতি পায়।
Advertisement
এরপর দুই বছর আগে ফ্রামকিন বুলগেরিয়ার গুহা গবেষকদের নিয়ে ফের এই গুহা খোঁজার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেন। এই কাজে ইউরোপীয় ৮টি এবং স্থানীয় ২০টি দল নিয়ে তিনি একটি টিম তৈরি করেন।
২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিন অভিযান চালিয়ে গুহার ১০ কিলোমিটারের বেশি এলাকা চিহ্নিত করেন তারা। ৮০টি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গুহাপ্রেমী দল মিলে লেজারের সাহায্যে মাপ নেয়া এবং মানচিত্র তৈরির কাজ করে। তাদের চোখে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।
সোদম পাহাড় নিজেই একটি বিশাল লবণের স্তূপ। বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ের লবণ গলে দীর্ঘদিন ধরে জমে জমে ডেড সি বা মৃত সাগরের দিকে গুহায় রূপ নিয়েছে মালহাম। মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধুলার কারণে গুহার অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে বিচিত্র নকশা। বিশালাকার লবণের ফলক, ধুলা আর খনিজপদার্থ মিলে অসাধারণ ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে এই গুহায়।
এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement