রাজনীতি

সংসদে না এলে বিএনপি শেষ সুযোগটাও হারাবে

আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সংসদে না এলে বিএনপি শেষ সুযোগটাও হারাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

Advertisement

আজ জাতীয় প্রেসকাব মিলনায়তনে গণআজাদী লীগ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি নামটি রাজনীতি থেকে একেবারে মুছে যাবে। ইস্যুবিহীন ইস্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র না করে সংসদে এসে কথা বলুন। সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিন। আপনাদের ৮ জনের কণ্ঠস্বর যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে ১০০ জনের মতো কাজ করবে। এক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বঙ্গবন্ধুর সামনে বক্তব্য রেখে সংসদ কাঁপিয়ে দিতেন।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে অভিমানের কোনো মূল্য নেই। রাজপথে থেকে সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে আর বিএনপি নেতারা রাজপথে নামেন না। ঘরে বসে অনশন করেন।

Advertisement

বনানীর এফআর টাওয়ারের মালিককে গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তিনি বলেন, রাজউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকাশিত খবরে জানতে পারলাম ওই ভবনের মালিক বিএনপি নেতা। এখন বিএনপি কী বলবে? ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ত্রুটির জন্য সরকার দায়ী হতে পারে না। বরং সেই ব্যক্তি বা সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সরিয়ে দিতে হবে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করা যেন একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমনটি হয় না।

তিনি বলেন, গণআজাদী লীগের আলোচনা সভার মাধ্যমে স্বাধীনতার মাসের কর্মসূচি শেষ হলো। সমাজে নৈরাজ্য, মাদক, নারী-শিশু নির্যাতনসহ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে আজ সোমবার ১৪ দলের বৈঠকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

১৪ দলের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাকে চোখের মনির মতো রক্ষা করার দায়িত্ব ১৪ দলের। মনে রাখতে হবে ওরা (বিএনপি-জামায়াত) কোনো দিন ক্ষমতায় এলে সব অর্জন ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশ অন্ধকারের দিকে যাবে।

গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণআজাদী লীগের মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান প্রমুখ।

এইউএ/এনএফ/জেআইএম