হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম এমনিতেই ডেভিড ওয়ার্নারদের হোম ভেন্যু। তারওপর এই ভেন্যু যখন কোনোদিন ভাগ্য নিয়ে তাদের সামনে হাজির হয়, তাহলে কি অবস্থা হতে পারে একবার ভেবে দেখুন! তেমনই ঘটনা ঘটেছে আজ এই স্টেডিয়ামে।
Advertisement
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানালেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। কোহলির লক্ষ্য ছিল, এই মাঠের উইকেট শুরুতে কিছুটা স্লো তাকে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাবেন তিনি।
কিন্তু শিকার করতে গিয়ে উল্টো নিজেরাই শিকার হয়ে গেলেন কোহলি অ্যান্ড কোং। মূলতঃ হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর জনি বেয়ারেস্টর ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ে গেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সব পরিকল্পনা। শুধু তাণ্ডব চালালেও হতো, বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে রীতিমত জুটির রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার।
আইপিএলের ইতিহাসে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন ওয়ার্নার আর বেয়ারেস্ট। ১৬.২ ওভারে যখন এই দু’জন বিচ্ছিন্ন হন, তখন হায়দরাবাদের রান ১৮৫। অর্থ্যাৎ, ওপেনিংয়েই ১৮৫ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন সানরাইজার্সের দুই ওপেনার।
Advertisement
অবশেষে ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে যখন জবি বেয়ারেস্ট আউট হলেন, তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১১৪ রান। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেন ডেভিড ওয়ার্নারও। তিনি অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে।
আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১৮৪ রানের। ২০১৭ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে গৌতম গম্ভীর আর ক্রিস লিন মিলে গড়েছিলেন ওই জুটি। এবার সেটা এক রানের জন্য ভেঙে দিলেন ওয়ার্নার আর বেয়ারেস্ট।
তবে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের জুটির রেকর্ড বিরাট কোহলি আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েছিলেন ২২৯ রানের জুটি। ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে। এই দুই ব্যাটসম্যানের আরও একটি জুটি রয়েছে ২১৫ রানের। ২০১৫ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তারা গড়েছিল এই জুটি।
২০৬ রানের একটি জুটি রয়েছে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর শন মার্শের। ২০১১ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে তারা এ জুটি গড়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে। ক্রিস গেইল আর বিরাট কোহলির ২০৪ রানের একটি জুটি গড়েন আরসিবির হয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে।
Advertisement
আইএইচএস/পিআর