রাজধানীর উত্তরায় প্রায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মৎস্য ভবন-২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। ৫ কাঠা জমিতে ৯তলা নির্মিত এ ভবনে ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য অফিস এবং ঢাকা জেলা মৎস্য অফিসের কার্যক্রম চলবে।
Advertisement
পিডব্লিউডির ডিজাইনে ভবনটির নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে মৎস্য অধিদফতরের ‘মানসম্মত মৎস্যবীজ ও পোনা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্যস্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প।’
রোববার (৩১ মার্চ) ভবনটির ফলক উন্মোচনের পর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মৎস্য খাতের উন্নয়ন-ত্বরান্বিতের লক্ষ্যে মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধ জালের উৎসমূল নির্মূলের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘এসব জাল ধ্বংস করতে না পারলে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের মতো আমাদের দেশীয় মাছও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিকদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এবং মৎস্য অধিদফতরের প্রচেষ্টায় দেশে বিলুপ্ত প্রায় ১৯ প্রজাতির মাছের পুনরাবির্ভাবের কথা উল্লেখ করে বিদেশে মাছ রফতানির আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Advertisement
পরে প্রতিমন্ত্রী মৎস্য উপখাতের এডিপির মূল্যায়ন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ১৯ পর্যন্ত ৮ মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ খাতে ২১টি প্রকল্পের জন্য চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে একই খাতের ২৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪৮৬ কোটি ৬০ লাখ এবং ব্যয় হয়েছিল ১৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাতের সর্বমোট ৪৪টি প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উভয় উপখাতে ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৭টি প্রকল্পের জন্য এ বরাদ্দ ছিল ৭৮৯ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল ৩৪৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
Advertisement
এমইউ/এনডিএস/জেআইএম