জাতীয়

মন্ত্রীর ব্রিফের সময়ও ঘুমাচ্ছিলেন রাজউক কর্মকর্তা

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ ঢাকায় বিদ্যমান ভবনগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আশু করণীয় ঠিক করতে বৈঠক করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সংবাদ সম্মেলনের সময় মন্ত্রীর ঠিক পেছনেই ঘুমাচ্ছিলেন রাজউকের এক কর্মকর্তা।

Advertisement

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজউকের কর্মকাণ্ড নিয়ে যখন চারদিকে সমালোচনা- এমন সময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে রাজউকের ওই কর্মকর্তার ঘুমানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।

আরও পড়ুন> এফআর টাওয়ার নির্মাণে রাজউকের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা জড়িত

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্ত্রীর পেছনে ঘুমানো রাজউকের ওই কর্মকর্তার নাম আজহারুল ইসলাম খান। তিনি রাজউকের একজন সদস্য (এস্টেট ও ভূমি)।

Advertisement

এ বিষয়ে রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, মন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের সময় রাজউকের ওই কর্মকর্তা ঘুমিয়ে পড়েন। বিষয়টি টেলিভিশন ক্যামেরার লাইভে দেখা যায়। এ সময় ক্যামেরাম্যানরা অন্য কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন যেন কেউ গিয়ে ওই কর্মকর্তার ঘুম ভাঙান।

আরও পড়ুন> এফআর টাওয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল ফায়ার সার্ভিস

সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, রাজধানীর কোন এলাকায় কোন বিল্ডিং পরিকল্পনা পরিপন্থী হয়েছে; নকশা, অনুমোদন, বিল্ডিং কোড মানা হয়নি- এমন হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজউকের ২৪টি টিম মাঠে নামছে।

এর আগে মন্ত্রী রেজাউল করিম ও রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন> ২২ তলা ভবনের সিঁড়ি মাত্র তিন ফুটের

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ২৫ জন নিহত হন। আহত হন ১২০ জন। তাদের মধ্যে ৫৬ জন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর অন্যরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

১৮ তলার অনুমোদন থাকলেও এফআর টাওয়ারটি অবৈধভাবে ২২ তলায় উত্তীর্ণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, রাজউকের গাফিলতির কারণে রাজধানীতে এফআর টাওয়ারের মতো অসংখ্য বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে।

এএস/আরএস/আরআইপি