জাতীয়

রাজধানীর ভবনগুলোর করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে রাজউক-পূর্ত মন্ত্রণালয়

বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এবং ঢাকা শহরের বিদ্যমান ভবনগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আশু করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বৈঠকে বসেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

Advertisement

রোববার দুপুর ১২টায় রাজউক অডিটোরিয়ামে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত আছেন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এদিকে রাজধানীর বনানী মডেল টাউনের কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে অগ্নিদুর্ঘটনায় পতিত এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণ-সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তদন্তে কাজ শুরু করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৮ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজউকের কনফারেন্স রুমে এ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২৯ মার্চ বনানীর অগ্নি দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে অগ্নিদুর্ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ফাহিমুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এ কমিটির অপর ৬ সদস্য হলেন স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসীর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (পরিকল্পনা) মো. সাঈদ নূর আলম, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. মইনুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম।

কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

Advertisement

এর আগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বনানীর অগ্নি দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি এফআর টাওয়ারের প্ল্যান অনুমোদনের প্রক্রিয়ার ভেতরে কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে কি-না, অনুমোদিত প্ল্যানের বাইরে ভবন নির্মাণ হয়েছে কি-না, হয়ে থাকলে এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত-ডেভেলপার, ভবন মালিক এমনকি আমাদের সংস্থার কেউ জড়িত থাকলে তার সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবে।'

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের ওই ভবনটির ৯ তলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে এতে ৭০ জন আহত হয়েছেন।

এএস/এসআর/এমএস