মরুভূমির গাঢ় অন্ধকারে নিজের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিল ক্যাঙারু ইঁদুর। এই ধরনের ইঁদুরের চোখ বড় বড়। লাফ মারতে অন্যন্ত পারদর্শী এরা। অ্যারিজোনায় (যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য) মরুভূমির অন্ধকারে শিকার ধরার অপেক্ষায় বসেছিল মারাত্মক বিষাক্ত র্যাটেলস্নেক। এই র্যাটেলস্নেক দ্রুত আক্রমণ করতে পারে। এই সাপের হামলায় শিকারের মৃত্যুঅবশ্যম্ভাবী।
Advertisement
তবে, ওই বিষাক্ত সাপের হামলার মুখে পড়েও প্রাণে বেঁচে গেল ওই ক্যাঙারু ইঁদুরটি! শুধু তাই নয় এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে বিষাক্ত সাপের মুখে কার্যত লাথি মেরে পালিয়ে যায় ইঁদুরটি।
রিভারসাইড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদল মিলিতভাবে একটি গবেষণা করেছে। সেই গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে হাই স্পিড ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে সাপের ছোবল থেকে কীভাবে নিজেকে বাঁচাচ্ছে ক্যাঙারু ইঁদুর। তবে সেই ভিডিও ফুটেজ অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিকারের জন্য ওৎ পেতে থাকা র্যাটেলস্নেক ঝাঁপিয়ে পড়ে পাশে থাকা ক্যাঙারু ইঁদুরের ওপর। তখনই শূন্যে লাফ মেরে সরে যায় ইঁদুরটি। সরে যাওয়ার আগে দু’পা দিয়ে লাথি মারে সাপটির মাথায়।
Advertisement
গবেষকরা ‘নিনজা র্যাট’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছেন সেই ভিডিও।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্র অনুসারে, পশ্চিম উত্তর আমেরিকার মরুভূমিতে বসবাসকারী এমন অনেক প্রাণিই লাথি মারার ‘নিনজা টেকনিক’ জানে। সান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণার ছাত্র গ্রেস ফ্রেইমিলার এবং মাল্যাচি হুইটফোর্ড জানিয়েছেন, সাপ এবং ইঁদুরের মধ্যে প্রতিটি যুদ্ধই সর্বাধিক প্রায় ৭০০ মিলিসেকেন্ড বা ০.৭ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তারা আরও জানিয়েছেন, র্যাটেলস্নেকের থেকেও এই ক্যাঙ্গারু ইঁদুরের প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত।
হুইটফোর্ড বলেছেন, ‘মানুষের চোখের পাতা ফেলার আগেই ঘটে যায় এই ঘটনা। কারণ এই আক্রমণ করতে বা আক্রমণ থেকে বাঁচতে এদের সময় লাগে ১০০ মিলিসেকেন্ডেরও কম। যেখানে চোখের পাতা একবার ফেলতে মানুষের সময় লাগে প্রায় ১৫০ মিলিসেকেন্ড।’
এসআর/এমএস
Advertisement