ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন গুলশান-১ কাঁচা বাজারে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
কমিটির সদস্যরা হলেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, আইন কর্মকর্তা, সম্পত্তি কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল-৩) এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন প্রতিনিধি। তাছাড়া তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি আগামী ৫দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।
গুলশান-১ এর ডিএনসিসি কাঁচা বাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা শনিবার বিকেল ৫টায় মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
Advertisement
এ সময় মেয়র ব্যবসায়ীদেরকে জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়ার পর এই মার্কেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়ে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত,আজ (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে মার্কেটের কাঁচাবাজারের পূর্ব পাশে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে মাত্র সাত মিনিটের মাথায় ৫টা ৫৫মিনিটে তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে তাদের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। এরপর একে একে আরও ইউনিট এসে যোগ দেয়। সর্বশেষ ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে নৌ বাহিনীর সদস্যরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই সময় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ওই আগুনে মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে যায়।
Advertisement
এএস/এমএমজেড/জেআইএম