লক্ষ্যটা একেবারে ছোট ছিল না, ১৭৭ রানের। তবে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছে পাত্তাই পেল না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মোহালিতে রোহিত শর্মার দলকে ৮ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখে হারিয়েছে ক্রিস গেইল-লোকেশ রাহুলদের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
Advertisement
রান তাড়ায় পাঞ্জাবকে ভালো সূচনা এনে দেন গেইল আর রাহুল। গেইল ঝড় তুলতে যাচ্ছিলেন। ২৪ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৪০ রান করা ক্যারিবীয় ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
তবে পাঞ্জাবের ঝড় তাতে থামেনি। মায়াঙ্ক আগারওয়েলও ২১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ক্রুনালের শিকার হন।
বাকি সময়টায় দলকে সহজ জয়ের পথে হাঁটিয়ে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। ডেভিড মিলারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৩১ বলে ৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন এই ওপেনার। ৫৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭১ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন রাহুল। ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার।
Advertisement
এর আগে মনে হচ্ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সংগ্রহটা দুইশ পেরিয়ে যাবে। কিন্তু কুইন্টন ডি কক আউট হওয়ার পর দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ৭ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।
অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর ডি কক। ৩২ বলে তারা তুলেন ৫১ রান। ১৮ বলে ৩২ রান করে রোহিত ফিরলে ভাঙে এই জুটিটি।
এরপর দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ডি কক। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬০ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তিনি ফেরার পর মাঝে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে রানের গতি কমে যায় মুম্বাইয়ের।
১৩ ওভার শেষে মুম্বাইয়ের রান ছিল ১২০। শেষ ৭ ওভারে (৪২ বল) তারা তুলতে পারে মাত্র ৫৬ রান, উইকেট হারায় ৪টি। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া ১৯ বলে ৩১ রানের একটা ইনিংস না খেললে আরও কমেই থামতো হতে রোহিতের দলকে।
Advertisement
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, হার্দাস ভিলজয়েন আর মুরুগান অশ্বিন।
এমএমআর/এমকেএইচ