রাজশাহী নগরীতে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান চলাচালে ব্যক্তি মালিকানাধীন দ্বিতল ভবন গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ মার্চ নগরীর কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন চারখুটা মোড় এলাকার এ ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
Advertisement
ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় সেটি নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ভবন মালিক ইয়াহিয়া হোসেন। শনিবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ইয়াহিয়া হোসেন করেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ মার্চ নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকার চারখুটা মোড় হতে বাইপাস মোড় পর্যন্ত অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। এই এলাকায় রেলওয়ের সম্পত্তির বাইরে তার কেনা সম্পত্তি রয়েছে। যার খারিজ খতিয়ান নং- ৮৯০২, আরএস খতিয়ান নং- ৬১০, দাগ নং- আরএস- ২৭০১, এসএ খতিয়ান নং-৮২২, জেএল নং-৫১, মৌজা- হড়গ্রাম, জমির পরিমাণ- ০.০৭৫৬ একর। ১৪২৬ বাংলা সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করা আছে তার নামেই।
এ সম্পত্তির উপরে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের নিচ তলায় দোকান এবং গোডাউন রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি।
Advertisement
তার অভিযোগ, নোটিশ ছাড়াই ১৯ মার্চ দুপুরে ভবন ভাঙা শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় তিনি উচ্ছেদে নেতৃত্বদানকারী রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, কানুনগো মহসিন আলীসহ সংশ্লিষ্টদের মালিকানার বৈধ কাগজপত্র দেখান। কিন্তু তা সেটি আমলে না নিয়ে পুরো ভবনটি গুঁড়িয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভবন মালিক অভিযোগ করেন, তার ভবনটি রেলওয়ের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে এমন দাবি করে আসছিলেন কানুনগো মহসিন আলী। উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করছিলেন তিনি। এ ঘটনার পর তিনি রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখনও চলমান।
ইয়াহিয়া হোসেন দাবি করেন, সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে তিনি এই জমি কিনে ভবন নির্মাণ করেছিলেন। এটি গুঁড়িয়ে দেয়ায় তার প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ইয়াহিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াহিয়া হোসেনের ছেলে নূর উল্লাহ্, প্রতিবেশী আলহাজ মো. আরশেদ আলী, আলহাজ জয়নাল আবেদীন, আত্মীয় সোহেল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ফেরদৌস/এমএএস/এমকেএইচ