জাতীয়

আগেরবার পোড়ে সাড়ে ৩ কোটি টাকার পণ্য, এবার ৮০ লাখের

জীবনের সব স্বপ্ন দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০ বছরের ব্যবধানে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়েছেন, সেইসঙ্গে বাড়িয়েছেন জৌলুসও। অথচ আজ নরকের চিহ্ন স্বর্গসম প্রতিষ্ঠানে।

Advertisement

গতবারের আগুনে পোড়া গন্ধ যেতে না যেতেই ফের সর্বনাশ। এখন শুধুই হাহাকার। দু’বছরের ব্যবধানে সর্বস্ব খুইয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান।

হাবিবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উপহার ক্রোকারিজের তিনটি দোকানই পুড়ে ছাই। দোকানে প্রায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। দেশের নামি-দামি তারকাচিহ্নিত হোটেলে পণ্য সরবরাহ করতেন হাবিব। বিদেশি পণ্যই বেশি ছিল তার দোকানে। ২০১৭ সালের আগুনে হাবিবের চারটি দোকানের সাড়ে তিন কোটি টাকার পণ্য পুড়ে গিয়েছিল। ব্যাংক ঋণ নিয়ে ফের দাঁড় করেছিলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এবারও সে স্বপ্ন আগুনের লেলিহান শিখায় অঙ্গার হয়ে গেল।

নিজের পোড়া দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নির্বাক হয়ে দেখছিলেন পুড়ে যাওয়া পণ্যের ভস্ম। শনিবার সকাল ৭টায় খবর পান মার্কেটে আগুন লেগেছে। বাড্ডার বাসা থেকে ছুটে এসে দেখেন সব শেষ।

Advertisement

হাবিব বলেন, ‘এবার একেবারে পথে বসে গেলাম। দু’বছরের ব্যবধানে সবই হারালাম। গতবারের আগুনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার পণ্য পুড়েছিল। এবার ৮০ লাখ টাকার পণ্য পুড়ে গেল। কী নিয়ে কোথায় দাঁড়াব তার কোনো কূল পাচ্ছি না।’

হাবিব আরও বলেন, ‘গতবার পুড়ে যাওয়ার পর ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে মার্কেট দাঁড় করিয়ে ছিলাম। ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও সরকার কোনো সহায়তা করেনি। হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল নিমিষেই। শত শত ব্যবসায়ী আমার মতো চোখে সরষে ফুল দেখছেন।’

গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটে শনিবার ভোরে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। সেবার মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করা হয়।

Advertisement

এএসএস/এনডিএস/এমএস