সীমান্তে এত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পরও ইয়াবা কারবারিরা নিত্যনতুন কৌশলে দেশে ইয়াবা আনছে। এবার রোহিঙ্গাদের পেট ভাড়া করেই চালানো হচ্ছে পাচার কাজ। চালান প্রতি ২০ হাজার টাকায় মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গার দল পেটে করেই এপারে আনছে ইয়াবার চালান।
Advertisement
শুক্রবার একদিনেই এভাবে ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্ত অতিক্রম করা ২৩ রোহিঙ্গাসহ ২৬ জনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এদের মাঝে ১৩ রোহিঙ্গার পেট থেকে শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত বের করা হয়েছে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) সোমেন মন্ডল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে ইয়াবা আনা হচ্ছে এমন সংবাদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মীরা শুক্রবার সকালে নাফনদীর তীরে অবস্থান নেয়। এ সময় ইয়াবা বহনকারী সন্দেহে নদী পার হওয়া একদল রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। টেকনাফের হ্নীলা চৌধুরী পাড়ার নাফনদ তীরের একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মীরা ২৬ জনকে আটক করে। তারা সবাই শুক্রবার ভোরে মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে এপারে এসে ঘরটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
Advertisement
সোমেন মন্ডল আরও বলেন, ইয়াবা পাচারকালে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জন রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এরপরও থামছে না ইয়াবা পাচার। টাকার লোভে পড়ে ইয়াবা বহনে যুক্ত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। চালান প্রতি ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাফনদের ওপার থেকে এপারে পেটে করে ইয়াবা পাচার করছিল তারা।
এডি জানান, আটকদের মাঝে তিনজন বাংলাদেশি। অপর ২৩ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২ নারী ও ৩ শিশুকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এক্স’রের মাধ্যমে ১৩ জনকে পেটে ইয়াবা বহনকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
সহকারী পরিচালক আরও জানান, শনাক্ত হওয়া ১৩ রোহিঙ্গা শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত পেট থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা বের করেছে। এসব রোহিঙ্গারা অকপটে স্বীকার করেছে, তারা জনপ্রতি এক ট্রিপে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইয়াবার চালান পাচার করছিল।
এ ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস