যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।
Advertisement
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ও চলমান উন্নয়নের ওপর নির্মিত ভিডিও দেখানো হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম-এর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ সফিউল আজম।
মহান স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ, কমিউনিটি নেতা মোবারক আলী ভুঁইয়া বকুল, জাহিদুল ইসলাম পুলক, আবু হানিফ, নাজমুন্নেসা পিয়ারী, মিজানুল হক খান, নূরে আলম সিদ্দিকী, বারবারা দাস গুপ্তা, মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
Advertisement
বক্তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। তাই আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নিতে হবে।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গণহত্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। নির্বিচারে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। ইতিহাসের এই নির্মম জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার স্মরণে ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে বিদেশি অতিথেয়দের সম্মানে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ এবং জার্মান ফেডারেল সরকারের পররাষ্ট্র দফতরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মহাপরিচালক ইনা লেপেল বক্তব্য দেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের নানা উদ্দীপনামূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জার্মানির বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মুনিম এবং স্বরচিত বাংলা এবং জার্মান কবিতা আবৃত্তি করেন হোসাইন আব্দুল হাই এবং মীর জাবেদা ইয়াসমিন ইমি। নাচ পরিবেশন করেন হামবুর্গ থেকে আগত নৃত্যশিল্পী ফারজানা শওকত শাহরীন।
Advertisement
এমআরএম/এমএস