এক ওভারে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটাচ্ছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। পরের ওভারেই কিপটে বোলিংয়ে ডি ভিলিয়ার্সের কাজটা কঠিন করে তুলছেন জাসপ্রিত বুমরা। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এ দুই তারকার মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ হাসি এসেছে বুমরার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ডি ভিলিয়ার্সের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরকে ৬ রানে হারিয়ে মৌসুমে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে মুম্বাই।
Advertisement
তবে ম্যাচে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন আম্পায়ারের দৃষ্টিকটু এক ভুল। যা নিয়ে সরব এখন ভারতের ক্রিকেট। ম্যাচ শেষে তাতক্ষণিকভাবে রাগ উগড়ে দিয়েছেন পরাজিত দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সমালোচনা করেছেন জয়ী দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।
ম্যাচের শেষ তিন ওভারে ৪০ রান প্রয়োজন ছিলো ব্যাঙ্গালুরুর। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ১৮তম ওভারে ঠিক ১৮ রান নিয়ে নেন ডি ভিলিয়ার্স। ১২ বলে বাকি থাকে ২২ রান। তখনই যেনো নিজের জাদুর শেষটুকু দেখান বুমরা। বল হাতে করতে আসেন ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথা ১৯তম ওভারটি।
আগের ওভারেই পরপর ২ ছক্কা মেরে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর ডি ভিলিয়ার্স। তাতে থোড়াই কেয়ার বুমরার। সে ওভারে একবারও বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৫ রানের বিনিময়ের কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে মুম্বাইয়ের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে দেন বুমরা।
Advertisement
শেষ ওভারে ব্যাঙ্গালুরুর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭ রানের। প্রথম বলেই অভিজ্ঞ লাসিথ মালিঙ্গাকে ছক্কা হাঁকান তরুণ শিবাম দুবে। আশা জেগে ওঠে ব্যাঙ্গালুরুর। কিন্তু পরের চার বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান মালিঙ্গা। দেন মাত্র ৪টি রান। শেষ বলে তরুণ শিবাম দুবের সামনে তখন ১ বলে ৭ রানের লক্ষ্য।
ম্যাচ জেতা তখন অসম্ভব, তবু ছক্কা হাঁকালে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। এ আশায় ব্যাট ঘোরান দুবে, কিন্তু ১ রানের বেশি পাননি। ফলে ম্যাচ জিতে যায় মুম্বাই। তবে টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, শেষ বলটি করার সময় দাগের বাইরে পা ফেলেছেন মালিঙ্গা। কিন্তু আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় রক্ষা পায় মুম্বাই।
কিন্তু আম্পায়ারের এমন দৃষ্টিকটু ভুল মেনে নিতে পারেননি বিরাট কোহলি। ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারদের সচেতনতার ব্যাপার। প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন রোহিতও।
কোহলি বলেন, ‘আমরা এখানে আইপিএলের মতো বড় পর্যায়ে খেলছি, কোনো পাড়ার ক্রিকেট নয়। শেষ বলের সিদ্ধান্তটাকে জঘন্য বললেও কম বলা হবে। আম্পায়ারদের উচিৎ নিজেদের চোখ খোলা রেখে দাঁড়ানো। এটা স্পষ্ট নো বল ছিলো। যদি তখন একটা বাড়তি বল পাওয়া যেতো তাহলে ম্যাচের চিত্র বদলে যেতে পারতো। তাদের উচিৎ ছিলো মাঠের মধ্যে আরও সচেতন থাকা।’
Advertisement
এসময় রোহিত জানান তারা নো বলের ব্যাপারে জেনেছেন মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরে। তার ভাষ্যে, ‘আমি এই নো বলের ব্যাপারে জেনেছি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে। কেউ একজন আমাকে বললো যে শেষ বলটা নো ছিল। ক্রিকেটের জন্য এমন ভুল কখনোই ভালো নয়। শেষ ওভারের আগের ওভারেই বুমরা একটি লিগ্যাল ডেলিভারি করলেও আম্পায়ার সেটিকে ওয়াইড দিয়ে দেয়।’
এসএএস/এমএস