আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড গঞ্জালো হিগুয়াইন। বর্তমানে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস থেকে ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে যোগ দেয়া হিগুয়াইন ২০১৮ সালের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি।
Advertisement
জাতীয় দলের হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন হিগুয়াইন। ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে মোট ৫ গোলসহ আর্জেন্টিনার ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৩১টি গোল করেছেন তিনি।
মূলত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারের দিকে নজর দিতেই জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিগুয়াইন। জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে গিয়ে হিগুয়াইন বলেন, ‘আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম কারণ আমি আমার পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। আমি আমার মেয়ের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার মনে হয় দেশকে যা কিছু দেয়ার ছিলো আমি দিয়ে ফেলেছি। এখন আমি পুরোপুরি চেলসির প্রতি দায়বদ্ধ। প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা দারুণ এবং আমি এটাই উপভোগ করতে চাই। এই টুর্নামেন্টটা অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণও।’
Advertisement
আর্জেন্টিনার হয়ে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেছেন হিগুয়াইন। কিন্তু যতোটা নন্দিত হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি হয়েছেন নিন্দিত। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করা এবং ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেনাল্টিতে গোল মিস করায় সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হন হিগুয়াইন।
বিদায়বেলায় এসব কথাও ভোলেননি তিনি। আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমি যেসব গোল মিস করেছি, মানুষ সেগুলোই মনে রেখেছে। যেগুলো আমি করেছি সেগুলো নয়। আমি নিশ্চিত বেলজিয়ামের বিপক্ষে (২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে) করা আমার গোলে সবাই উদযাপন করেছে।’
‘আপনি যখন কাউকে সমালোচনা করেন তখন তার রেশ আরও অনেকের মাঝেই ছড়িয়ে পড়ে। আমি দেখেছি আমার পরিবার কতোটা মুষড়ে পড়ে। তবু আমি জাতীয় দলের হয়ে নিজের সর্বোচ্চটাই দিয়েছি। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমরা চূড়ান্ত সাফল্য পাইনি। কিন্তু তাই বলে শুধু ব্যর্থতার গল্প বললেই তো হলো না’- বলেন হিগুয়াইন।
এসএএস/এমএস
Advertisement