আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, এফআর টাওয়ারে আগুন এবং বিল্ডিং কোড মেনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র, ডিএমপি কমিশনার, ফায়ার সার্ভিসের ডিজি উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে ১৯ জন মারা গেছে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৫০ থেকে ৬০ আহত হয়েছে। তারা ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে গেছে, বড় কিছু নয়। বহুতল ভবনের জন্য ফায়ার সেফটির একটি ডিজাইন করা হয়েছে। সেই মোতাবেক সবাইকে এখন থেকে ভবন নির্মাণ করতে হবে। রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোতে কী পরিমাণ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। আমাদের দক্ষ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
রাজধানীতে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে রাজউকের কোনো গাফিলতি আছে কি না, ওই নকশাতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে হানিফ বলেন, ভবনগুলোতে নকশা ছিল কি ছিল না তা এখন দেখার সময় নয়। এখন আগুনের ঘটনায় আগে হতাহতদের উদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে মনিটরিং করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বহুতল ভবনে যারা শর্ত না মেনে নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে। তারা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবে কারা নকশা মানেনি। এই ভবনের ক্ষেত্রেও তাই অনুসরণ করা হবে। আর এই ভবনে আদৌ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৮ বছর আগে এই একই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ কী ছিল? যেখানে আবার অগ্নিকাণ্ড ঘটলো। এ ব্যাপারে হানিফ বলেন, আট বছর আগে কী ঘটেছিল তা এখন আমি স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না। তবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা অবশ্যই তদন্ত করবে। যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেইউ/বিএ
Advertisement