কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, এই সরকারকে মানি না, এই সংসদ মানি না, এই সরকারের অবসান চাই। ৩০ তারিখ আমাদের স্বাধীনতা ধ্বংস করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটে জিততে পারবে না এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনার কারণে বঙ্গবন্ধুকে নিন্দিত হতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে দেশের না করে কয়েকজন লোকের করা হচ্ছে। তাকে নিয়ে কয়েকজন লোক মিউ মিউ করে কথা বলছে। আমি দিব্য চোখে এই সরকারের পতন দেখতে পাচ্ছি, সংসদের পতন দেখতে পাচ্ছি, নেত্রীর পতন দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আগামীতে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করা হবে। কারা পালন করবেন? যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সহযোগী তারা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবেন! তারপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করা হবে। কারা পালন করবেন? যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করবেন!
Advertisement
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বর্তমান সরকার ও এর ইসি ক্রেন দিয়েও ভোটারদের আর ভোটকেন্দ্রে নিতে পারবে না। আমরা এমন ইসি জীবনে দেখিনি।
তিনি আরো বলেন, এমন দেশ দেখতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ শাসক দেশে এমন অবস্থা তৈরি করেছেন যাতে মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ না পায়। এদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছে। গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ, মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারছে না। অথনৈতিক মুক্তিও আসেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতায় তাকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হলো তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরেন কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, একজন মন্ত্রীর অসুস্থতায় ব্যবস্থা নেয়া গেলে ৭৪ বছর বয়স্ক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন। খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করেন বঙ্গবীর।
Advertisement
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী খোকা বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এসএইচএস/পিআর