র্যাব সদস্যদের সফল অভিযানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মাদক ও ভেজালবিরোধী অভিযান দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছে র্যাব। দেশের মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছে বাংলাদেশ র্যাব। মানুষ এখন নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র্যাব ফোর্সেস-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন। অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন র্যাব ফোর্সেস-এর একটি চৌকস দল।
সকাল ১০টায় র্যাবের সদর দফতর, কুর্মিটোলায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন এ বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘র্যাবের তৎপরতায় ৩৫৮ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সমাজে তাদের ছেলে-মেয়েদের আর অপমানজনক কথা শুনতে হয় না। জলদস্যুদের ছেলে-মেয়েরা এখন স্কুলে লেখাপড়া করে। সমাজে ভালোভাবে পরিচয় দিতে পারে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘সমাজবিরোধী অন্যান্য কাজে যারা লিপ্ত আছেন তারা যদি আত্মসমর্পণ করেন তাহলে তাদেরকেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। তাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা এবং ভালোভাবে জীবন-যাপন করার ব্যবস্থা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। মসজিদের ইমাম, মাদরাসার শিক্ষক স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সমাজপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মাদকের ছোবলে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। মাদকের কারণে মেয়ে বাবা-মাকে হত্যা করে। ভাই ভাইকে হত্যা করে। আর যে পরিবারে মাদক প্রবেশ করে সে পরিবারে অশান্তির সীমা থাকে না। সমাজ ও পরিবার যেন মাদকমুক্ত হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়।’
উল্লেখ্য, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ২০০৪ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ বাহিনীর প্রকাশ ঘটে। মাত্র ১৫ বছরে র্যাবের উত্থান আর সাফল্য আসে জঙ্গি দমনের মাধ্যমে। এ ছাড়া চাঞ্চল্যকর অনেক ঘটনার রহস্য উন্মোচনের মধ্যদিয়ে র্যাব স্বকীয়তা অর্জন করে।
Advertisement
এফএইচএস/এমআরএম/জেআইএম