পুরান ঢাকাকে অগ্নি ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ করতে গণশুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ গণশুনানি শুরু হয়।
Advertisement
আইন ও শালিস কেন্দ্র, বেলা, ব্লাস্ট, ব্র্যাক, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, এএলআরডি এবং নিজেরা করি নামক সংগঠন এ গণশুনানির আয়োজন করেছে।
আয়োজকরা জানান, পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের যেন নিমতলী ও চুড়িহাট্টার মতো আর কোনো বেদনাদায়ক ঘটনার মুখোমুখি না হতে হয় সেজন্যই করণীয় নির্ধারণে আমাদের আজকের গণশুনানি। এ শুনানিতে আমরা অতীতের বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করব। কীভাবে সমন্বিত ও জবাবদিহিমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের রাসায়নিকের ঝুঁকি কমানো যায়, পুরান ঢাকাকে বিস্ফোরক রাসায়নিক অগ্নি ঝুঁকিমুক্ত করতে আশু করণীয়, নিরাপত্তার স্বার্থে পুরান ঢাকার অবকাঠামোয় কী পরিবর্তন জরুরি ও তা কীভাবে অংশগ্রহণমূলক ভাবে সবার জন্য লাভজনক করা সম্ভব- এসব বিষয় নিয়ে আমারা গণশুনানি করব।
মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অগ্নিঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ পুরান ঢাকা শীর্ষক গণশুনানিতে উপস্থিত আছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ, ব্লাস্ট আনারারী নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের নগর ও পরিবেশ সম্পাদক ড. ফরিদা নিলুফা,পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে ৬৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর আহত ও দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার জন মারা যান। অর্থাৎ মোট নিহতের সংখ্যা ৭০ জন। আর ২০১০ সালে ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪জন নিহত হন।
এএস/জেডএ/জেআইএম