প্রবাস

‘ভবিষ্যতে পৃথিবীর কোথাও যেন এ রকম না হয়’

পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ‘একটি সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে এই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চায় যে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর আর কোথায়ও যেনো এ রকম গণহত্যার পুনরাবৃত্তি না হয়।’

Advertisement

পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) দেশটির রাজধানী ওয়ারসে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবস পালন করা হয়।

রাত ৯টায় দূতাবাসের সব বাতি এক মিনিটের জন্য নিভিয়ে বা ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এরপর ২৫ মার্চ কালরাতে শাহাদাতবরণকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোল্যান্ড নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে দূতাবাস চত্বর প্রদক্ষিণ করেন তারা।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে, বিশেষ করে ২৫ মার্চ কালরাতে যারা হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

Advertisement

সভায় রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান একাত্তরের ২৫ মার্চ দিনগত রাতে নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর বিনা প্ররোচনায় অতর্কিত ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এই কাপুরুষোচিত হামলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার এবং দেশের মাটি থেকে অত্যাচারীদের বিতাড়িত করতে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানোর ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শেষে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও পোলিশ নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/জেআইএম

Advertisement