খেলাধুলা

কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি জরুরি : মিঠুন

সামনে বিশ্বকাপ। সব দলই নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে মূল প্রস্তুতি এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেটাররা এখন খেলছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। সেটা শেষ করে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে টাইগার দল। যে সফরটাকে ভীষণ গুরুত্ববহ মনে করছেন জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।

Advertisement

কারণটাও কারও না বোঝার কথা নয়। ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ। আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশন অনেকটাই ইংল্যান্ডের মতো। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

তবে তার আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ঢাকা লিগে। মোহাম্মদ মিঠুনও এই ঢাকা লিগ নিয়েই ভাবছেন আপাতত। তবে এই লিগ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হচ্ছে, এমনটা মনে করছেন না তিনি।

মিঠুন বলেন, ‘আপাতত ঢাকা লিগেই মনোযোগ। আলাদাভাবে প্রস্তুতি এখনো শুরু করি নি। তবে করবো। প্রিমিয়ার লিগ খেলে আমি যদি চিন্তা করি যে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি হয়ে যাচ্ছে, সেটা ভুল। কারণ ওখানকার কন্ডিশন পুরো আলাদা। প্রিমিয়ার লিগ খেলার পাশাপাশি ওই কন্ডিশন মাথায় রেখে প্রস্তুতিটা জরুরি।’

Advertisement

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশন, আমরা যতটুকু জানি, প্রায় একই। আয়ারল্যান্ডের ম্যাচগুলো খুব ভালো কাজে দিবে। আমাদের প্রস্তুতির জন্য। ওখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে। ওরা ভালো দল। নিজেদের কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডও কঠিন দল। সব মিলিয়ে সেখানে ভালো প্রস্তুতি হবে।’

নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ দল। সেখানেও খেলতে হয়েছে বাউন্সি উইকেটে। যে উইকেটে দুটি ওয়ানডে খেলার সুযোগ হয়েছে মিঠুনের। চোটে ছিটকে পড়ার আগে ৬২ আর ৫৭ রানের দুটি ইনিংস খেলেন তিনি, দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার ব্যাটেই কেবল দেখা গেছে প্রতিরোধ।

যদিও ওই দুটি ইনিংসেই আত্মতৃপ্তির কিছু দেখছেন না মিঠুন। তার মতে, আরও ভালো করা সম্ভব ছিল নিউজিল্যান্ডে, ‘ওইখানে ভালো খেলা আমার দায়িত্ব ছিলো। পুরোপুরি পালন করতে পারি নাই। দুইটা ইনিংসই আরো বড় করা যেতো। ওই ইনিংস আমার মধ্যে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না জানি না। প্রতিটি ম্যাচেই আসলে আমি চেষ্টা করি।’

নিউজিল্যান্ড সফরে একবার চোটে পড়েছিলেন। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে মাঠে নামার আগে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা কতটা জরুরী? মিঠুন বললেন, ‘ফিট না থাকলে কিছুই করা যাবে না। ফিট না হলে মাঠেই নামতে পারবেন না। একজন খেলোয়াড়রের কাছে এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফিট থাকলে যে কোনো সময় ফর্মে ব্যাক করা যায়। সবাই পেশাদার। যার যার কাজ সে সে ভালো বোঝে। আমি ফিটনেস খুব গুরুত্ব দেই পার্সোনালি।’

Advertisement

এমএমআর/এমএস