শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ট্রলিচাপায় নিহত শিশু মিথিলার (৪) জীবনের মূল্য হিসেবে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছেন ট্রলির মালিক। এলাকাবাসীর দাবি, এভাবে জীবনের মূল্য নির্ধারণ করা হলে দুর্ঘটনার হার বেড়ে যাবে।
Advertisement
নিহত মিথিলা উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বারৈপাড়া গ্রামের মোবারক হাওলাদারের মেয়ে। সে আটপাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রি-প্রাথমিক শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে মা লিপি বেগমের হাত ধরে ঘড়িসার বারৈপাড়া সড়ক দিয়ে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল মিথিলা। হঠাৎ মায়ের হাত ছেড়ে সড়কের মাঝে চলে গেলে একটি ট্রলি এসে মিথিলাকে চাপা দেয়। আহত অবস্থায় মিথিলাকে ঘড়িসার আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ট্রলিটি জব্দ করে ভাঙচুর ও চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। পরে তারা বিক্ষোভ করে। পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন।
Advertisement
পরে ওইদিনই মিথিলার চাচা রুবেল হাওলাদার বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামি ট্রলিচালক শাহআলম মোল্লাকে আটক করে শরীয়তপুর আদালতে পাঠায় নড়িয়া থানা পুলিশ। গত ২৪ মার্চ শাহআলম আদালত থেকে জামিনে বের হন।
পরে ২৭ মার্চ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের কক্ষে বসে মিথিলার মা লিপি বেগম ও ট্রলির মালিক ছাত্তার মালত এবং চালক শাহআলম মোল্লাকে নিয়ে বসে স্থানীয় সালিশে বিষয়টি দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় মীমাংসা করা হয়।
এ সময় ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. রব খান, ঘড়িসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আকবর হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মুন্সীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় মিথিলার নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিকে আটক করে কোর্টে চালান করা হয়েছে। পরে তারা মীমাংসা করেছে কিনা জানি না।
Advertisement
এ বিষয়ে নিহত মিথিলার মা লিপি বেগম জানান, মামলা করেছি, কিন্তু আসামি জামিনে চলে এসেছে। মামলা করে লাভ হলো না। তাই মীমাংসায় আপস হয়েছি। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।
ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম