আমল ও ইবাদতকে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য করতে লোক দেখানো মানসিকতা পরিহার করতে হবে। যখনই মানুষ নিজের আমলকে শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে করবে তখনই সে নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান লাভ করবে। আর সে আমল আল্লাহর কাছেও হবে গ্রহণযোগ্য।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে লোক দেখানো আমলকারীকে কঠোর আজাবের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। হাদিসে পাকেও রয়েছে অনেক কঠোরতা। সুতরাং নিজেদের আমলকে বাহবা কিংবা প্রশংসামুক্ত রাখতে সবসময় ৩টি বিষয় মনে রাখা জরুরি। আর তাহলো-
আমলের সুরক্ষার জন্য তিনটি বিষয় দুর্গস্বরূপ-
- আমল করার তাওফিক হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে, এমন বিশ্বাস রাখা।- আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে আমল করা, যে আমলে প্রবৃত্তির (নফসের) চাহিদা বাধাগ্রস্ত হয়।- শুধু আল্লাহর কাছেই আমলের প্রতিদান ও বিনিময় চাওয়া, যাতে মানুষের অন্তর থেকে লোক দেখানো ভাব ও লোভ দূরীভূত হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন > লোক দেখানো ইবাদতকারীর ৪ আলামত
উল্লেখিত ৩টি বিষয় হৃদয়ে স্থান করে নিতে প্রত্যেককেই সে আমলকারী রাখালের কথা স্মরণ করা জরুরি, যে রাখাল শুধু তার গরু ও ছাগলের পালের সামনে ইবাদত করে। তাহলো এমন-
কোনো রাখাল ছাগল কিংবা গরুর পালের কাছে নামাজ কিংবা ভালো আমল করে। সে সময় রাখালের মনে যেমন এমন চিন্তা আসে না যে, ‘গরু কিংবা ছাগলগুলো তার নামাজ বা আমল দেখে তাকে বাহবা দেবে কিংবা আমলের কারণে তার প্রশংসা করবে।’
অনুরূপভাবে প্রত্যেক আমলকারীর মানসিকতাও এমন হওয়া উচিত যে, ‘ তার ইবাদত-বন্দেগিও যেন দুনিয়ার মানুষের প্রশংসা কিংবা তিরস্কারমুক্ত হয়।’ আর তাতেই মানুষের আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলো যথযথ স্মরণের সঙ্গে নামাজসহ যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ