ভালোবেসেই বিয়ে করেছে আসিফ আর ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলা গ্রাজুয়েশন শেষ করলেও এখনও পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেনি। এদিকে আসিফ একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির একাউন্স সামলায়। যার কারণে অফিসের সময়টা তো বটেই, নির্দিষ্ট সময়ের পরেও দীর্ঘ সময় তাকে অফিসে থাকতে হয়। এমনকি অনেক সময় অফিসের কাজ করতে হয় বাসায়ও। কখনোবা ছুটির দিনগুলোতে থাকে জরুরি মিটিং।
Advertisement
এদিকে একা বাড়িতে ঐন্দ্রিলার সময় কাটে না। বাসার টুকিটাকি কাজ, রান্না এসব করেও অলস বসে থাকতে হয় অনেকটা সময়। এমনকি আসিফের সঙ্গে ফোনেও কথা বলার সুযোগ হয় না খুব বেশি। দু-এক মিনিট কথা বলেই ফোনটা রেখে দিতে হয়। একদিকে আসিফের ব্যস্ততা, অন্যদিকে ঐন্দ্রিলার একাকীত্ব- দুয়ে মিলে দিনেদিনে যেন দূরত্বই বেড়ে চলেছে দুজনের মাঝে।
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্কে যে ভুলগুলো করবেন না
এমনটা যে শুধু আসিফ-ঐন্দ্রিলার জীবনেই ঘটেছে তা কিন্তু নয়। বর্তমান সময়ে এই চিত্র খুবই কমন। আপনার সঙ্গেও যদি এমনটা হয় অর্থাৎ, আপনার স্বামীও যদি এমনই কাজপাগল হয় তাহলে সম্পর্ক খারাপ না করে একটু অন্যভাবে সমাধান করতে হবে-
Advertisement
তার কাজের ধরন বুঝুন
একটা কথা আপনাকে বুঝতে হবে, সাধ করে কেউ কাজপাগল হয় না। তার উপর হয়তো সত্যিই প্রচণ্ড কাজের চাপ রয়েছে। তার কাজের ধরন সম্পর্কে আপনার যদি স্পষ্ট ধারণা থাকে, তা হলে তার পাহাড়সমান কাজের চাপ থাকলেও কীভাবে সম্পর্কটা বাঁচাতে হবে, তার একটা উপায়ও আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন।
মাথা ঠান্ডা রাখুন
কোনো পরিস্থিতিতেই মেজাজ হারাবেন না। তাকে দোষারোপ করাও বন্ধ করুন। তাতে পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হবে, যেটুকু সময় আপনারা একসঙ্গে কাটাতে পারতেন সেটাও হবে না।
Advertisement
আরও পড়ুন: দাম্পত্য জীবন সুন্দর রাখার উপায়
হিসাব রাখুন সময়ের
তার কাজের চাপ থাকবে, সেটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে। কাজের চাপ সামলে কীভাবে দুজনের জন্য খানিকটা কোয়ালিটি সময় বের করে নেওয়া যায়, সেটা দেখুন। স্বামীকে বলুন, কোনো পরিস্থিতিতেই নিজেদের জন্য এই সময়টুকু আপনারা অন্য কাজে নষ্ট করবেন না!
সাহায্য চান
অতিরিক্ত কাজের চাপের সঙ্গে মানসিক বিপর্যয়ের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে যদি মনে হয় আপনার স্বামী কাজের চাপে নুয়ে পড়ছেন, তা হলে তার সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে দুজনে মিলে মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শ নিন।
এইচএন/এমকেএইচ