বিশাল এক দেহের অধিকারী তিনি। নিজেকেই নাড়াতে যেন কষ্ট হচ্ছিল তার। কিন্তু পায়ে প্যাড লাগিয়ে, গ্লাভস হাতে যখন ব্যাট করতে নামলেন এবং সজোরে হাঁকালেন, তখন মনেই হলো না, এ ধরনের ক্রিকেট খেলতে তার শরীর বড় কোনো বাধা।
Advertisement
বলা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কথা। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রীতিমত ক্রিকেটার বনে গেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মিরপুরে আয়োজিত বিসিবি কর্মকর্তা একাদশ বনাম যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একাদশের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচে খেলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
একপাশে যখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, তখন অন্যপাশে বিসিবি কর্মকর্তা একাদশের হয়ে মাঠে নামার কথা ছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের; কিন্তু তারকা ক্রিকেটারদের ভিড়ে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তার।
শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ম্যাচে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একাদশকে ৫৯ রানে হারিয়েছে বিসিবি কর্মকর্তা একাদশ। ১৫ ওভারের ম্যাচে বিসিবির দলটি স্কোরেবোর্ডে তোলে ১৩৮ রান। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রানের বেশি করতে পারেনি প্রতিমন্ত্রীর দল।
Advertisement
বিসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন সজল চৌধুরী। ৩০ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় সজল ইনিংসটি সাজান। এছাড়া ওপেনিংয়ে হান্নান সরকার ২০ ও নাঈমুর রহমান দূর্জয় ২১ রান করেন। পাঁচে নেমে জামাল বাবুর ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন। শূন্য রানে রান আউট হয়ে যান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মন্ত্রণালয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সায়েম মেহেদী, মানিশ হাওলাদার ও ফেরদৌস আলম।
১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মন্ত্রণালয়ের একাদশ শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে আসেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ১৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১০ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন ফেরদৌস আলম। বিসিবি কর্মকর্তা একাদশের হযে বোলিংয়ে স্পিনার এনামুল হক ২টি এবং হাসিবুল হোসেন শান্ত ১ উইকেট নেন।
ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সজল চৌধুরীর। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আইএইচএস/এমকেএইচ
Advertisement