রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নরসিংদীর ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ শফিকুল ইসলাম শফিক (২৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রদীপ চন্দ্র (৩৫) ও ফারুক হোসেন (৩২) নামে শফিকের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে। রাত সোয়া ১টার দিকে আহত র্যাব সদস্য ও শফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১টা ২২ মিনিটে চিকিৎসক শফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক সূত্র জানায়, আহত র্যাব সদস্য কনস্টেবল নুর আলমের বুকে গুলি লাগে। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে থাকায় গুলি শরীরের ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, নরসিংদীর অপরাধীদের তালিকায় এক নম্বর আসামি শফিকুল। তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে গেলেই সে ও তার সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টাগুলি চালালে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
র্যাব সূত্র জানায়, নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকুল ৩টি হত্যা মামলা, ৪টি অস্ত্র মামলাসহ অন্তত একডজন মামলার পলাতক আসামি। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শফিকুলের অবস্থান জানতে পেরে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মাটিকাটার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়।
পাঁচতলা ভবনটি তল্লাশি করে র্যাব সদস্যরা ছাদে পৌঁছালে সেখানকার চিলেকোঠার একটি কক্ষ থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় র্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি চালালে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১টা ২২ মিনিটে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাগুলিতে নূর আলম নামে র্যাবের এক সদস্যও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে প্রদীপ ও ফারুক নামে দুইজনকে আটক করা হয়। এছাড়া তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি ও অসংখ্য গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে রাত সোয়া ২টায় মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় র্যাব জানায়, রাজধানীর ভাসানটেক এলাকার একটি বাসায় র্যাবের সঙ্গে একদল দুষ্কৃতিকারীর গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিক নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
এআর/বিএ