বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হবে আগামী ২২ এপ্রিল। এর ৪ দিন আগে ১৮ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড। দেশে ৮-১০ দিন একসঙ্গে অনুশীলন করে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের জন্য আগামী ১ মে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
Advertisement
সেসবের জন্য এখনো বাকি প্রায় মাসখানেক সময়। তবে দেশের ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থক ও অনুরাগিরা এখন থেকেই আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন কারা থাকতে পারেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন স্কোয়াডের অন্তত ৮-৯ জন খেলোয়াড় প্রায় চূড়ান্ত। আলোচনা করা হবে বাকি জায়গাগুলোর জন্য।
এতে কি আর মন ভরে? সবারই জানার ইচ্ছা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে দলের জার্সি গায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন কোন ১৫ জন ক্রিকেটার। তাই বারবার বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, কোচ কিংবা নির্বাচকের কাছে জানতে চাওয়া হয় এমন তথ্য।
যেমনটা আজ প্রশ্ন করা হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে প্রিমিয়ার লিগের বিরতির দিন মাশরাফি গিয়েছিলেন একটি ‘বডি স্প্রে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। যেখানে যথারীতি চলে আসে ক্রিকেট আলোচনা এবং অবধারিতভাবেই উঠে আসে বিশ্বকাপ স্কোয়াড প্রসঙ্গ।
Advertisement
উত্তরে মাশরাফি সাফ জানিয়ে দেন বিশ্বকাপ স্কোয়াড নির্বাচনে তার কোনো হাত নেই। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এই দল নির্বাচনের পার্টে নেই অবশ্যই। আগেও ক্লিয়ার করেছি, এখনও করছি। দল নির্বাচন আমার হাতে নেই। কিন্তু যে ১৫ জনই আসুক না কেন তারা পারফর্ম করে আসছে কি-না সেটিই মূল বিষয়। আমাদের মূল ফোকাস থাকবে আয়ারল্যান্ড সিরিজ এবং বিশ্বকাপে আমরা দল হিসেবে কেমন করছি সেটা।’
এসময় মাশরাফি আরও জানান চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়রা যেমনই করুক না কেন, বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে সবাইকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। কেননা ঢাকার ক্রিকেটে রান করে বড় মঞ্চে ব্যর্থ হওয়া কিংবা ঢাকার ক্রিকেটে ব্যর্থ হয়েও বড় মঞ্চে সফল হওয়ার উদাহরণ রয়েছে অনেক।
সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েন মাশরাফি বলেন, ‘আমি আগের পরের কথা টেনে এনে বলছি যে এখানে (প্রিমিয়ার লিগে) অনেক উইকেট পেয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা স্ট্রাগল করেছি এবং আমার মতো সিনিয়র ক্রিকেটার বা অন্য যারা আছে তাঁরাও করেছে। আবার এখানে খারাপ করেও দেখা গিয়েছে ওখানে যেয়ে আমরা ভালো করেছি। তাই আকাশ আর পাতাল ব্যবধান দুটি জায়গার মধ্যে। এই কারণে আমি বলছি যে মানসিক দিক থেকে কে তৈরি থাকবে তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে।’
মাশরাফির শেষ কথা, ‘হয়তো দেখা গেল যে এখানে কেউ লীগ খেলছে ঠিকই, তবে সে কিছু নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে কাজ করছে যেটি বিশ্বকাপে তার প্রয়োজন হতে পারে। আমি মনে করি তার ঐদিকেই নজর থাকা উচিৎ যে যেটি সে চিন্তা করছে। সুতরাং মানসিকভাবে প্রস্তুত মানে আপনিও প্রস্তুত। সেটাই আমি বলতে চাইছি আসলে। তবে যারা রান করছে বা ভালো করছে সেটি নির্বাচক প্যানেল ঠিক করবে যে কারা যাবে আর কারা যাবে না।’
Advertisement
এআরবি/এসএএস/এমএস