‘ওস্তাদ, ঢাকা শহরের এত্তো হাজার হাজার মানুষ গেল কই? রাস্তাঘাট তো এক্কেবারে ফকফকা ফাঁকা।’
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নীলক্ষেতের অদূরে কাটাবন মোড়ে বস্তা থেকে পেয়ারা বের করে ভ্যানগাড়িতে সাজাতে সাজাতে কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল ওবায়দুরকে উদ্দেশ্য করে এ কথাগুলো বলেন তরুণ আবদুস সালাম।
পাশেই টুল পেতে বিশ্রামরত ট্রাফিক কনস্টেবল ওয়াবদুর বলে উঠেন, ‘একে তো মঙ্গলবার তারওপর ২৬ মার্চের বন্ধ, এ কারণে রাস্তাঘাটে জন ও যানচলাচল কম। তাইতো টুলে বসে বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছি। না হলে বাঁশি বাজাতে হতো ক্ষণে ক্ষণে।’
তিনি বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় কড়া রোদে অনেকে ঘরের বাহির হননি, তবে বিকেলে ভিড় বাড়বে।’
Advertisement
আজ ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) সরেজমিন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ট্রাফিক কনস্টেবল ওবায়দুলের কথার সত্যতা মেলে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে জন ও যানবাহন চলাচল একেবারেই কম। নিত্যদিনের ঢাকা শহরের যে চিত্র তার সঙ্গে আজকের চিত্র মেলানো যায় না।
সেই চিরচেনা যানজট হাজার হাজার মানুষের ছুটে চলা সেই দৃশ্য নেই। গাড়িগুলো দ্রুত বেগে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ছুটে চলেছে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশকে রিলাক্স মুডে ডিউটি করতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে গোটা ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা। খুবই স্বল্পসংখ্যক তরুণ-তরুণীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে দেখা যায়। ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে ঢুকতে দেখা যায় অভিভাবকদের।
Advertisement
গরমকাল হাওয়ায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে খাবার পানি কোমল পানীয় ডাব, আইসক্রিম ও কুলফি বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তবে সকালের দিকে ক্যাম্পাসে লোকজন না থাকায় তাদের বিষন্ন মনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
টিএসসির সামনে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল সানি নামের এক যুবক। সে জানায়, প্রতিবছরই সকাল থেকে রাত অবধি ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করি। সকালের দিকে এমনিতেই লোকজন একটু কম হয়। কিন্তু এবার কি কারণে জানি না সকাল থেকে মানুষজন নেই বললেই চলে।
এমইউ/এনডিএস/পিআর