বাইরে সূর্যের প্রখর তাপ। ঘর থেকে বের হয়ে খোলা আকাশের নিচে কয়েক মিনিট দাঁড়ালেই সূর্যের সেই প্রখর তাপে শরীর পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। সেই সঙ্গে শরীর বেয়ে ঝরছে ঘাম।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একদল সংগীত শিল্পিকে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সামনে একটি ট্রাকে গান গাইতে দেখা যায়।
ঢোল, তবলা, বাঁশি, হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পী একের পর এক দেশত্মবোধক গান গেয়েই চলেছেন। সেই গান শুনতে দর্শক-শ্রোতা ভিড় না করলেও বিরক্ত নন শিল্পীরা।
শহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সামনে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থানের শিল্পীদের বহনকারী ট্রাকটি স্থানটি ত্যাগ করে। অবশ্য স্থান ত্যাগ করলেও থামেনি শিল্পীদের গান। থামবেই বা কেন? এটা যে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান।
Advertisement
তাই তো শিল্পীদের বহন করা এ ট্রাকটি এক স্থানে স্থির না থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরবে। আর ট্রাকের ভেতর থেকে শিল্পীদের কণ্ঠে বেরিয়ে আসবে একের পর এক দেশত্মবোধক গান।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এ ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদফতর। এ সংগীতানুষ্ঠানে যারা অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব স্টাফ।
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সঙ্গে জাগো নিউজের কথা হয় সংগীতানুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকা গণযোগাযোগ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সংগীত) মো. জাকিউল হাইয়ের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে আমরা এ সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এখানে যারা গান গাচ্ছেন তারা সবাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব স্টাফ। শিল্পী হিসেবেই তারা নিয়োগ পেয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে এসব শিল্পী ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমরা সকাল ৮টা থেকে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান শুরু করেছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের এ অনুষ্ঠান চলবে। আমরা চেষ্টা করব রাজধানীর প্রতিটি অঞ্চল ঘুরে ঘুরে গান পরিবেশনের।’
এমএএস/এনডিএস/জেআইএম