ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী প্রভোস্ট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুবকে এবার সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Advertisement
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ দফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুবকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে যোগদান করেন মো. আব্দুল্লাহ্ আল মাহবুব। বিভাগের পাঠাদানে অংশ না নিয়েই তিনি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য ঢকায় অবস্থান করছেন যোগদানের পর থেকেই। এই প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল জুন পর্যন্ত হলেও তিনি গত ৫ মার্চ শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পান।
এ নিয়ে জাগো নিউজে ‘প্রশিক্ষণে থেকেও হলের দায়িত্বে বেরোবি শিক্ষকরা’ শিরোনামে গত ২১ মার্চ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পরেই সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। পরে ওই দিনই তাকে হল থেকে সরিয়ে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়।
Advertisement
ক্যাম্পাসে না থেকেও কিভাবে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন এ নিয়ে ক্যাম্পাসে সমালোচনা চলছে। এবার ঢাকায় থেকে কিভাবে ক্যাম্পাসের সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে সহকারী প্রক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে ঢাকায় থেকেও আগের পদে বহাল রয়েছেন গত ৭ মার্চ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দায়িত্ব নেয়া সহকারী প্রভোস্ট মোছা. ইমরানা বারী। ফলে বিতর্ক থেকে রেহাই পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. শামীম হোসেনকে গত ২১ মার্চ থেকে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়াকে কেন্দ্র করে। কারণ তিনিও গত ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে রয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, উপাচার্য নিজেই ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যে আসেন। প্রত্যেক বিভাগে পাঠদানের শিক্ষক স্বল্পতা সত্ত্বেও বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের নামে ঢাকায় রাখছেন। উপাচার্য ভুলেই গেছেন শিক্ষকদের দায়িত্ব পাঠদান করা। ঢাকায় থেকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা যায় না।
এ ব্যাপারে কথা বললে বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবীর সুমন জাগো নিউজকে বলেন, যতদূর জেনেছি কোনো নির্দিষ্ট কারিকুলাম ছাড়াই তাদের প্রশিক্ষণের নামে ঢাকায় রাখা হচ্ছে। এটা অনুচিত।
Advertisement
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সজীব হোসাইন/এএম/এমএস