মধ্যযুগের রোম সম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী বতর্মান তুরস্কের প্রাণকেন্দ্র ইস্তাম্বুলে অবস্থিত জাদুঘরের নাম হাজিয়া সোফিয়া। হাজিয়া সোফিয়া দীর্ঘ দিন পর দ্বিতীয় মেয়াদে আবার মসজিদে রূপান্তরিত হতে চলেছে। গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোগান এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
Advertisement
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে স্থাপিত এ হাজিয়া সোফিয়া স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জার জন্য সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়। ১২০৪ সাল পর্যন্ত এ স্থাপনাটি গির্জা হিসেবে উপাসনা চলে।
১২০৪ সালের পর এটি ক্যাথলিক গির্জায় রূপান্তরিত হয়। যা প্রায় ৫৭ বছর ক্যাথলিক গির্জা হিসেবে ব্যবহারের পর ১৯৬১ সালে তা আবার অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তরিত হয়। আর তা ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯২ বছর স্থায়ী হয়।
পঞ্চদশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে ১৪৫৩ সালে এ অঞ্চল উসমানিয় খলিফাদের দখলে চলে যায়। উসমানিয় শাসকরা এ স্থাপনাটিকে মসজিদে রূপান্তর করে। যা ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। সে সময় এ স্থাপনাটিকে ‘ইম্পেরিয়াল মসজিদ’ নামে ঘোষণা দিয়ে প্রধান মসজিদের মর্যাদা দেয়া হয়।
Advertisement
দীর্ঘ সময় পরে ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও রাষ্ট্রপতি কামাল আতাতুর্ক এ স্থাপনাটিকে যাদুঘরে রূপান্তরিত করেন।
এ স্থাপনাকে নিয়ে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের দ্বন্দ্বের কারণে নতুন নিয়ম প্রবর্তিত হয়। আর তাহলো- এ স্থাপনার মূল হলরুমটি ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সেটি মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান কেউই ব্যবহার করতে পারবে না।
তবে উভয় ধর্মের অনুসারিদের জন্য এ স্থাপনায়ই রয়েছে আলাদা আলাদা স্থান। আর জাদুঘরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আলাদা আলাদা ইবাদতের স্থান নির্মাণ করা হয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, পর্যটকরা হাজিয়া সোফিয়ার ব্লু মসজিদে আসা যাওয়া করতে পারবেন। এজন্য তাদের হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘরের সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে মসজিদটি পরিদর্শন করতে হবে বলে জানান।
Advertisement
বর্তমান এরদোগান সরকারের আমলে সেটিকে ফের মসজিদের রূপে ফিরিয়ে আনতেই চালিয়ে যাচ্ছে আলোচনা।
এমএমএস/পিআর