চলতি লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে হেরেছে দুই দলই। এর মধ্যে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আবার হেরেছে পরপর দুই ম্যাচে। ফলে আবাহনী ও মোহামেডানের জন্য ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচটি জয়ের ধারায় ফেরার এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের।
Advertisement
সে দৌড়ে প্রাথমিক কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে তারা আটকে ফেলেছে ২৪৮ রানে। এক ম্যাচ পর আবার জয়ে ফিরতে তাদের প্রয়োজন ২৪৯ রান।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নামে মোহামেডান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকালের দিকে পেস বোলারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকায় এখনো পর্যন্ত প্রায় সব ম্যাচেই টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। হোম অব ক্রিকেটে রানও উঠেছে অন্য দুই মাঠের তুলনায় কম।
Advertisement
সে ধারবাহিকতা বজায় থাকলো ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচেও। অধিনায়ক রকিবুল হাসান এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেললেও আড়াইশ পেরোতে পারেনি মোহামেডান। তৃতীয় উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ রানের জুটি গড়েন এ দুজন।
তবে ইরফান বা রকিবুলের কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৭৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হয়েছেন ইরফান, রকিবুল থেমেছেন ৫৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে। চলতি লিগে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে লিটন দাস করেন ৩৮ বলে ২৭ রান।
শেষদিকে চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ২৪ বলে ৩২ এবং সোহাগ গাজী ২০ বলে ২৭ রান করলে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় মোহামেডানের সংগ্রহ। আট নম্বরে নেমে ৭ বলে খেলে ৪ রানের অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
আবাহনীর পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু এবং মোহাম্মদ সাঈফউদ্দিন। অন্য উইকেট যায় মোসাদ্দেক হোসেনের ঝুলিতে।
Advertisement
এসএএস/এমকেএইচ