আইন-আদালত

শহিদুল আলমের মামলা স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি ১১ এপ্রিল

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর আগামী ১১ এপ্রিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বারজজ আদালত।

Advertisement

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বাজজ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এর আগে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম গত ১৪ মার্চ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।

Advertisement

এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর একই বছরের ১২ আগস্ট মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

শহিদুল আলমের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

Advertisement

এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর শহিদুল আলমকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/জেডএ/এমকেএইচ