গোপনে আমল তথা ইবাদত করা ইখলাসের অন্যতম নিদর্শন। উত্তম প্রতিদান লাভের বুনিয়াদও এটি। তাই মানুষের উচিত যে কোনো ভালো কাজ এমনভাবে করা যাতে তা লোক দেখানোর জন্য না হয়। কেননা লোক দেখানো ইবাদতকারী ব্যক্তি ইসলামের রিয়াকার হিসেবে পরিচিত।
Advertisement
কুরআন এবং হাদিসে রিয়াকারের কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য হবে না বরং মুমিন মুসলমানের জন্য ছোট শিরক হিসেবে বিবেচিত। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মধ্যে রিয়াকারী সম্পর্কেই বেশি ভয় করতেন।
অথচ সমাজে এমন কিছু ধর্মীয় ও নৈতিক অভ্যাস এবং কাজ প্রচলিত আছে, যা নিয়তের কারণে ইবাদতের পরিবর্তে গোনাহের কাজে পরিণত হয়। যে মনোভাবে মানুষের ভালো কাজ তথা ইবাদতগুলোও বরবাদ হয়ে যায়, তা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
যে কাজগুলোর কারণে মানুষ লোক দেখানো ইবাদতকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়। তাহলো-
Advertisement
> মানুষের অনুপস্থিতিতে একান্ত ব্যক্তিগত পরিবেশে নেক আমল বা ভালো কাজে অবহেলা করা।> মানুষের সামনে পূর্ণ উদ্যম ও আগ্রহের সঙ্গে আমল করা।> যে কাজে মানুষ প্রশংসা করে সে কাজ বেশি বেশি করা।> যে কাজ করলে মানুষ মন্দ বলে, সে কাজ অতি অল্প করা।
পরিপূর্ণ ঈমানদার ব্যক্তি কখনোই উল্লেখিত কাজগুলো করতে পারে না। কারণ তাদের একান্ত চাওয়া হলো মহান আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত উল্লেখিত গুণগুলো আন্তরিকভাবে পরিহার করে যাবতীয় আমল-ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত গুণগুলো পরিহার করে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/এমকেএইচ