ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে। বাড়ছে মুসলমানের সংখ্যা। দেশটির ২০১১ সালের জনগণনা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ, সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক আট শতাংশ।মুসলমানসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে নতুন করে ভাবাচ্ছে সেদেশের কট্টরপন্থি হিন্দু নেতাদের। এমনই একজন বাবা রামদেব। আবারো বিতর্কে এলেন তিনি। তবে শনিবার হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল আচার্য দেব ভ্রটের নাগরিক সংবর্ধণা মঞ্চে কোনো সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যে সম্প্রদায়ে জনসংখ্যা অত্যাধিক হারে বাড়ছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম করা হোক।যোগগুরু বাবা রামদেব আরো মন্তব্য করেন, যদি জনসংখ্যার হার না কমানো যায়, ভবিষ্যতে আরো বেশি অপুষ্টি, দারিদ্র, অশিক্ষায় ভূগতে হবে দেশকে। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম না করলেও কটাক্ষ করে বলেন `হিন্দু, শিখ সম্প্রদায়ে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কমেছে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার হার বেড়েই যাচ্ছে। এইরকম জনসংখ্যার অসামঞ্জস্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিপর্যয় আসতে পারে।`সম্প্রদায়ভিত্তিক জনসংখ্যার অসামঞ্জস্য ভারতের ক্ষতি হতে পারে রামদেবের এমন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য আইন করারও পরামর্শ দেন তিনি।সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে ২০১১ জনগণনার সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০১ ছিল ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে, সেই নিরিখে কমেছে হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার হার।ভারতে হিন্দু কমেছে, বেড়েছে মুসলমানবিএ
Advertisement