ফুটবলে নাইজেরিয়ানদের নাম বেশ শোনা যায়। গত বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপে সুপার ঈগলদের উত্থান বেশ চোখে পড়ার মত। বিশ্বকাপে তাদেরকে অনেকেই ব্ল্যাক হর্স হিসেবেও অভিহিত করে থাকে।
Advertisement
কিন্তু ক্রিকেটে কি কখনও নাইজেরিয়ার নাম শোনা গিয়েছিল? ইতিহাস ঘেঁটে-ঘুঁটেও তো ক্রিকেটের বাইশ গজে নাইজেরিয়ানদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। অথচ সেই নাইজেরিয়াই কি না নাম লিখে ফেললো অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। রীতিমত বিশ্ব ক্রিকেটকেই এক চমক উপহার দিলো আফ্রিকান দেশটি।
বাছাই পর্বে আফ্রিকান অঞ্চলে নাইজেরিয়ানদের শেষ ম্যাচ ছিল সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে। স্বাগতিক দেশ নামিবিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নাইজেরিয়াকে ১৩৮ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় সিয়েরা লিওন। জবাব দিতে নেমে এক পর্যায়ে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে নাইজেরিয়ানরা।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে পিটার আহো অসম্ভবকে সম্ভব করে তুললেন। প্রথমবারের মত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নাম লিখে দিলেন নাইজেরিয়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে যে কোনো পর্যায়ে এটাই হতে যাচ্ছে নাইজেরিয়ার প্রথম অংশগ্রহণ।
Advertisement
বিশ্বকাপ বাছাই আফ্রিকান ডিভিশনে নাইজেরিয়া দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছে। ৫ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে অপরাজিত থেকেই তারা নাম লেখালো অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। তাদের গ্রুপে ছিল কেনিয়ার মত দেশও। যারা হয়েছে ৬ দলের মধ্যে পঞ্চম। স্বাগতিক নামিবিয়া হয়েছে দ্বিতীয়, এরপর যথাক্রমে উগান্ডা, সিয়েরা লিওন, কেনিয়া এবং তানজানিয়া।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাইজেরিয়ান বোলারদের সামনে শুরু থেকেই অসহায় হয়ে পড়ে সিয়েরা লিওনের ব্যাটসম্যানরা। তিন নম্বরে জন বাঙ্গুরা ২১ রান করলেও বাকিরা ছিলেন শুধু আসা যাওয়ার মিছিলে। তবে ব্যাতিক্রম হয়ে দেখা দেন হারুন কামারা। ৬০ বল খেলে তিনি করেন সর্বোচ্চ ৫৮ রান।
কামারার ইনিংস সাজানো ছিলো ৬টি বাউন্ডারিতে। শেষ দিকে ওসমান সাখো ২৪ রান করলেও সিয়েরা লিওনের ৩৭.৩ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে নাইজেরিয়ারও অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। এর মধ্যে ওলাইঙ্কা ওলালেয়ে ১৬, আইজ্যাক দানলাদি করেন ২৫ এবং মিরাকল ইকাইগে করেন ২২ রান।
শেষ দিকে পিটার আহো দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে ২১ রান করেন। এমানুয়েল বোনিফেস ১১ এবং আবদুর রহমান জিমোহ ১২ রানে অপরাজিত থেকে নাইজেরিয়াকে ২ উইকেটের জয় এনে দেন। একই সঙ্গে তারা নাম লেখায় অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও।
Advertisement
নাইজেরিয়ার সঙ্গে আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে নাম লিখেছে নামিবিয়াও। কেনিয়াকে ১৯৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তারা হয়েছে দ্বিতীয় এবং নাম লিখেছে পরবর্তী অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে।
আইএইচএস/পিআর