পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর তাদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ের অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি প্রাদেশিক সরকারকে দ্রুত ওই দুই কিশোরীকে উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশ দেন। সোমবার ইমরানের এমন নির্দেশের কথা জানিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
Advertisement
গত কয়েকদিন আগে হিন্দু ধর্মালম্বীদের হোলি উৎসব থেকে ওই দুই কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। সিন্ধ প্রদেশের ঘোকটি জেলায় বাড়ি থেকে একদল অপহরণকারী তাদের তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের পর ওই দুই কিশোরীর বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সবার নজরে আসে ঘটনাটি।
তাছাড়া ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় ওই দুই কিশোরী বলছেন যে, তাদেরকে কেউ জোর করেননি বরং তারা নিজের ইচ্ছেতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সোমবার এক টুইট বার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দুই কিশোরী এখন পাঞ্জাবে আছে।
তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিন্ধ ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার এ ঘটনায় নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া এরকম ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’ শনিবার তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুই হিন্দু কিশোরীর ধর্মান্তরিত ও বাল্যবিবাহের ঘটনার তদন্তে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
Advertisement
আরও পড়ুন>> নারী চালককে মরিয়া হয়ে খুঁজছেন মসজিদে হামলায় বেঁচে যাওয়া মাজদা
ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হন সেদেশে বসবাসকারী হিন্দু ধর্মালম্বীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্বে শাস্তি দেয়ার দাবি তোলেন তারা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার হওয়ার অনুরোধ জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। পাকিস্তানের বসবাসরত হিন্দুদের একটি সংগঠন বলছে, অপহৃত ওই দুই কিশোরী হলেন ১৩ বছর বয়সী রবিনা ও ১৫ বছর বয়সী রীনা।
এদিকে কিশোরী অপহরণের ঘটনায় পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এক টুইটে সংবাদপত্রে ওই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘কিশোরী অপহরণের বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি।’
এসএ/পিআর
Advertisement