পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চার উপজেলাতেই ভোটার উপস্থিতি একেবারে হাতে গোনা। ভোট শুরুর পর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের ভোট দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যাও কমেছে। তবে ভোটার কম হলেও ব্যালট বক্সে ভোটের অভাব হচ্ছে না। অভিযোগ আছে, এসব জাল ভোট।
Advertisement
রোববার (২৪ মার্চ) দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন কারণে আনোয়ারা ও লোহাগাড়ায় ভোট হচ্ছে না। বাকি চার উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের লড়তে হচ্ছে তাদেরই বিদ্রোহীদের সঙ্গে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ৯টায় বোয়ালখালী পৌর এলাকার গোমদণ্ডি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটের প্রায় দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই শূন্য। নাম উল্লেখ না করার শর্তে একটি বুথের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তা জানান, প্রথম দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ১২টি।
একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে বোয়ালখালী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকেও।
Advertisement
কিছুটা বিপরীত চিত্র দেখা গেছে পটিয়া উপজেলায়। এখানে কেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও ব্যালট বক্সে ভোটের অভাব হচ্ছে না। সকাল পৌনে ১০টার দিকে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় লাইনে কিছু সংখ্যক ভোটার আছেন। কিন্তু তারা দাঁড়িয়েই আছেন, ভোট দিতে দেখা যাচ্ছে না। খবর নিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত সেখানে প্রায় ২০০ ভোট পড়েছে। ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৩৪২ জন।
এই কেন্দ্রের নিকটতম দূরত্বে পশ্চিম পটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দেড় ঘণ্টা সেখানে প্রায় ৪৬০ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রটিতে ভোটার সংখ্যা ৪৮৩০। যদিও কেন্দ্রের বাইরে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
এর বাইরে অন্যান্য ভোট কেন্দ্রগুলোতেও নির্দিষ্ট কিছু নারী-পুরুষকে জটলা করতে দেখা গেলেও তাদের সবাই আগেই ভোট দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে চন্দনাইশে ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনার পর ওই উপজেলার প্রায় সব কেন্দ্র ভোটার শূন্য হয়ে পড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
Advertisement
আবু আজাদ/এমএমজেড/আরআইপি