নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর দেশটির অকল্যান্ড ও ক্রাইস্টচার্চের হেইগলি পার্কে পদযাত্রা করেছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ। জাতি-বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ও মুসলিমদের প্রতি সমর্থন জানানোর উদ্দেশে রোববার এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে রোববারের এই পদযাত্রার স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ভালোবাসো, ঘৃণা নয়। হাজারো মানুষের মিলিত কণ্ঠে শোনা যায় এই স্লোগান। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে না তারা।
একজন বলেন, আমরা বর্ণবাদী। আমাদের পরিবর্তন হওয়া উচিত। অপর একজন বলেন, আমার জন্য চলাফেরা করা খুবই কঠিন। তারপরও আমি এখানে এসেছি। কারণ নিউজিল্যান্ড এত বিপজ্জনক নয়।
আরও পড়ুন : জেসিন্ডাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার দাবি
Advertisement
একজন অভিবাসী বলেন, মসজিদে হামলার ঘটনায় তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করেন। কারণ আমিও গুলিবিদ্ধ হতে পারতাম। বর্ণবাদ ও জাতিগত বিদ্বেষের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে অকল্যান্ডে এই পদযাত্রায় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
পদযাত্রার আয়োজক আনু কালোটি বলেন, আসলেই আমি খারাপ অনুভব করছি। ওই হামলা ৫০টি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষকে জেগে ওঠা প্রয়োজন। বর্ণবাদ মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের আরো কিছু কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : মহানবীর (সা.) উদ্ধৃতিতে শান্তির বার্তা প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার
ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর দেশটির মুসলিমদের অনেকেই নিজেদের অসহায় হিসেবে ভাবছেন। এই মুসলিমদের প্রতি সমর্থন ও সমানুভূতি জানাতেই রাস্তায় নেমে এসেছে অকল্যান্ডের মানুষ। তরুণ এক অংশগ্রহণকারী বলেন, আমি বিশ্বকে দেখাতে চাই যে, মানুষকে গুলি করে হত্যা করা ঠিক নয়।
Advertisement
গত ১৫ মার্চ (শুক্রবার) ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর ও লিনউড মসজিদে জুমার নামাজের সময় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্টের বন্দুক হামলায় ৫০ মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে। এর পর থেকেই মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে অভয় দিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী-সহ বিশ্বের অন্যতম শান্তিপ্রিয় হাজারো মানুষ। সূত্র : নিউজ হাব নিউজিল্যান্ড।
এসআইএস/এমএস