জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, এ দেশে একদলীয় প্রথা গ্রহণযোগ্য হবে না, আগেও হয়নি।
Advertisement
তিনি বলেন, ১৪ দলকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। আমরা ১৭ কোটি মানুষের দেশে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের কথা ভাবতে বলি। আমাদের ফেডারেল কাঠামোয় যাওয়া উচিৎ। বর্তমানের সুবিধা ভোগীরা এটা চাইবে না। নতুন করে অনেক কিছুই ভাবতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে জামায়াতের মত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অগ্নিঝরা মার্চ স্মরণে এবং ২৬ মার্চ ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাসদ এ সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছিরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দিন খান বাদল এমপি, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম এ করিম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন, মোহাম্মদ খালেদ, ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশিদ সরকার, বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নওয়াব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ মহাসচিব কাজি মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম প্রমুখ।
Advertisement
সভায় মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নুরুল আম্বিয়া বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জনগণের রক্তাক্ত সংগ্রামের ইতিহাস। ৩০ লক্ষ শহীদ ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ সুরক্ষা করতে হবে। ১৯৭১ সালের মার্চে ছাত্র-শ্রমিকরা যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন, উন্নয়ন কাঠামোতে নামের মাধ্যমে তা তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। সে জন্য যে রাজনীতি-নির্বাচন-প্রশাসন দরকার সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু দেখা যাচ্ছে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনের নৈতিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন একতরফা হচ্ছে- তা ভাল নয়। প্রকৃত নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এটা সরকারকে করতে হবে। উন্নয়ন স্থানীয় সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এমপি-আমলাদেরও খবরদারি বাদ দিতে হবে। কিন্তু সরকারের কথাবার্তায় মনে হয় তারা গণতন্ত্রের পথ ভুলতে বসেছে।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement