বরিশালের মুলাদী উপজেলায় নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর কাইয়ুম খান নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Advertisement
শনিবার সকালে হিজলা থানা পুলিশ মুলাদীর সীমান্তবর্তী পশ্চিম চরপত্তনীভাঙ্গা এলাক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। কাইয়ুম খান মুলাদী উপজেলার পৌর এলাকার মৃত আব্দুল জলিল খানের ছেলে। ১৬ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন কাইয়ুম।
কাইয়ুম খানের বড় ভাই বিশাই খান বলেন, ১৬ মার্চ বিকেলে কাইয়ুম বাড়ি থেকে বাজারের যায়। ওই দিন রাতে কাইয়ুম বাড়ি না ফেরায় তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেয়া হয়। কোনো খবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হন।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে পশ্চিম চরপত্তনীভাঙ্গা এলাকায় একটি মরদেহ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। পরে কাইয়ুমের গায়ের জামা দেখে মরদেহ চিনতে পারি আমি। বিষয়টি হিজলা থানা পুলিশকে অবহিত করলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
Advertisement
বিশাই খান অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই কাইয়ুমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মামলা করবো।
এ ব্যাপারে হিজলা থানা পুলিশের ওসি মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, মরদেহ অর্ধগলিত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি বুঝা যাবে এটি হত্যা নাকি অন্য কিছু। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/এএম/জেআইএম
Advertisement