প্রবাস

আমিরাতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন আইকন’ পেলেন বাংলাদেশি তিশা

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের আলোকিত তরুণীদের সম্মাননা দিয়েছে আরব আমিরাতের ভারতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন জানকজ। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ব্যালেন্স ফর বেটার’ সামনে নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন আইকন বাংলাদেশ’ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি সাংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক তিশা সেন।

Advertisement

শুক্রবার আরব আমিরাতের শারজাহের একটি বেসরকারি রূপচর্চা কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারু ভারগেস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০১৯ ইশা ফারসা কোরিশ, লেখিকা হানি ভাসকারান, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার অ্যাডভোকেট বীমা বেনজির।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন জানকজ-এর কো-ফাউন্ডার সৌম্য অরুণ নাইর, যিশা ভেনুগোপাল। পুরো অনুষ্ঠানটিই ছিল নারীদের ঘিরে। বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপিন, পাকিস্তান এই ৪ দেশের ৪ জন তরুণীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের দেশকে তুলে ধরার জন্য এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তিশা সেন ছোটবেলা থেকে মা-বাবার সঙ্গে আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠেছেন। আজমানের ইন্ডিয়ান স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে ২ বছর সে স্কুলেই শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ৫২ বাংলা টিভির সংবাদপাঠিকা এবং স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।

Advertisement

এ ছাড়া সংহতি সাহিত্য পরিষদ আরব আমিরাত শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা তিশা একজন ক্লাসিকাল নৃত্যশিল্পী এবং মৌলিক চিত্রশিল্পী হিসেবেও কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। শিল্পকলার ষোলকলা জানা তিশার হাত আছে লেখালেখিতেও। নানামাত্রিক সম্ভাবনাময় তিশা তার এগিয়ে যাওয়াতে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেয়ে তিশা সেনের বাবা অনুপ সেন ও মা রূপশ্রী সেন তার এ প্রাপ্তিতে গর্বিত। এদিকে সংহতি আমিরাত এবং ৫২ বাংলা টিভি পরিবারসহ নানা সংগঠন ও ব্যক্তি তিশাকে পৃথক পৃথক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এমআরএম/এমকেএইচ

Advertisement