গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে।
Advertisement
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে তিন কার্যদিবসে দরপতন হওয়ায় বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
এতে কমেছে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স এবং শরিয়াহ সূচক। অবশ্য বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মধ্যেও ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই-৩০ কিছুটা বেড়েছে।
প্রধান মূল্য সূচক ও শরিয়াহ সূচকের পতনের প্রভাবে কমেছে ডিএসইর পিই রেশিও। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ১৬ দশমিক ১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ডিএসইর পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে দশমিক ২১ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
Advertisement
খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে।
এছাড়া বীমা খাতের ১২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৫ দশমিক ৭২ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ১৭ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর ইপি রেশিও ২০ এর ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আর্থিক খাতের ২২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ২৭ দশমিক ১১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ২৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট, পেপার খাতের ৩২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ৩৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট এবং পাট খাতের পিই রেশিও ৭০২ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement